সোমবার (২৮ অক্টোবর) রাজধানীর হোটেল লেকশোরে পিএইচপি ফ্যামিলি আয়োজিত প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ-রুয়ান্ডা বিজনেস ফোরামের আলোচনায় এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা তৈরি পোশাক, ফার্মাসিটিক্যালস, জুট, প্লাস্টিক ম্যাটেরিয়ালস, পেইন্টিং, কনস্ট্রাকশন পণ্য রুয়ান্ডায় রপ্তানি করতে পারবেন।
রুয়ান্ডায় কারখানা করে উৎপাদন করা পণ্য আফ্রিকার পাঁচটি দেশে শুল্কমুক্ত সুবিধা পাওয়া যাবে।
স্বাগত বক্তব্যে বাংলাদেশে নিযুক্ত রুয়ান্ডার অনারারি কনসাল ও পিএইচপি ফ্যামিলির ডিরেক্টর মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন বলেন, রুয়ান্ডায় রপ্তানি, ব্যবসা ও ভ্রমণ বাড়াতে আমাদের এই উদ্যোগ। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যৌথভাবে আগামী তিনমাসের মধ্যে ৩০ জন ব্যবসায়ীর একটি প্রতিনিধি দল রুয়ান্ডা পরির্দশনে যাবে। এসব ব্যবসায়ীরা দেশে ফিরে সরকারের কাছে প্রতিবেদন দেওয়ার পরে সরকার সিদ্ধান্ত নেবে। রুয়ান্ডাকে ব্যবহার করে আয় ও কর্মসংস্থান তৈরির বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে।
দিল্লিতে নিযুক্ত রুয়ান্ডার হাই কমিশনার আরনেস্ট রমেচো বলেন, বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীদের জন্য রুয়ান্ডায় অন অ্যারাইভাল ভিসা ও কাজের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। কাতার এয়ালাইনন্সে মুম্বাই, ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে সরাসরি ফ্লাইট, রুয়ান্ডা এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটে আবুধাবি হয়ে রুয়ান্ডা সহজে যাওয়া যায়। সহজে ব্যবসা করার সূচক ব্যবস্থার সংস্কার করা হয়েছে। রুয়ান্ডা সরকার ব্যবসাবান্ধব। এখানে ট্যাক্স, ভ্যাট ও কাস্টমস শুল্ক অনেক কম। ইতোমধ্যে আমাদের দেশে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইন্ডিয়া বিনিয়োগ করেছে। বাংলাদেশের ফার্মাসিটিক্যালসের বাজার তৈরি হয়েছে। রুয়ান্ডায় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে প্লাস্টিক পণ্যের কারখানা করার সম্ভাবনা রয়েছে।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই রুয়ান্ডার পর্যটন নিয়ে নির্মিত প্রায় এক ঘণ্টার একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
রুয়ান্ডা আফ্রিফার পূর্ব-মধ্যাংশের একটি রাষ্ট্র। দেশটির সরকারি নাম রুয়ান্ডা প্রজাতন্ত্র। রাজধানীর নাম কিগালি। এদেশে প্রায় ৮০ লাখ লোকের বাস। রুয়ান্ডার চারিদিকে রয়েছে উগান্ডা, বুরুন্ডি, গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্র এবং তানজানিয়া।
বাংলাদেশ সময়: ০০২৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০১৯
এসই/এইচএডি