ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

লুটেরাদের কাউকে ছাড় নয়, মামলা হবে: অর্থমন্ত্রী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১১৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ৫, ২০১৯
লুটেরাদের কাউকে ছাড় নয়, মামলা হবে: অর্থমন্ত্রী জাপানের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে অর্থমন্ত্রী। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: আমানতকারীদের টাকা ও সঞ্চয় যারা লুট করেছে, তাদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। নতুন করে যাদের নামে অভিযোগ আসছে, তাদের নামেও মামলা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
 

সোমবার (৪ নভেম্বর) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে অর্থমন্ত্রীর দপ্তরে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছে পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফিনান্সিয়াল সার্ভিসেসের (পিএলএফএস) ছয় সদস্যের প্রতিনিধি দল। এরপর ঢাকায় জাপানের রাষ্ট্রদূত নাওকি ইতোর সঙ্গে বৈঠক করেন অর্থমন্ত্রী।

 

বৈঠক শেষে আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, আমানতকারীদের দাবি ছিল পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফিনান্সিয়াল সার্ভিসেস (পিএলএফএস) অবসায়ন প্রক্রিয়া বন্ধ করা এবং ক্ষুদ্র ও ব্যক্তি আমানতকারীদের সঞ্চয় ফেরত দেওয়া। তার জানিয়েছেন, পিপলস লিজিংয়ের ক্ষুদ্র আমানতকারীরা তাদের কষ্টার্জিত অর্থ রেখে এখন তা ফেরত না পেয়ে চরম অসহায় অবস্থায় দিন পার করছেন। এ অবস্থায় হাজারো আমানতকারী ও তাদের পরিবারের সদস্যরা অনিশ্চিত জীবনযাপন করছে। একটি অসাধু চক্র এ কাজটি করেছে। আজ যারা এসেছেন, তারা মূলত এক পক্ষ, এরা বিনিয়োগকারীরা। তাদের সমস্যাটাই আসলে বেশি। বিষয়টি নিয়ে পর্যালোচনা করা হবে বলে তাদের আশ্বস্ত করা হয়েছে।

জাপানের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠক প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, জাপান বাংলাদেশের পরম বন্ধু। অনেক উন্নয়ন প্রকল্পে জাপান বাংলাদেশের সঙ্গী। জাপানের ঋণে বাস্তবায়িত প্রকল্পের আপডেট জেনেছে তারা। সামনে আরও বড় বড় প্রকল্পে ঋণ দিতে চায় দেশটি।

তিনি বলেন, জাপান সহজ শর্তে ঋণ দিয়ে থাকে এবং এমওইউতে সুদের হারও কম থাকে। জাপানের কোনো রাজনৈতিক এজেন্ডা থাকে না। তাই তাদের সঙ্গে কাজ করা অনেক সহজ। আগামী ১৬ তারিখ তারা পুরো প্রতিনিধি দল নিয়ে আসবে এবং আমাদের পারস্পরিক সুবিধা-অসুবিধা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে।

বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধিকে ‘সুতাকাটা ঘুড়ি’র সঙ্গে তুলনা করেছে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমাদের আর তাদের অবস্থান এক নয়। আমাদের অবস্থান দেশের জনগণের জন্য, তাদের ভূত-ভবিষ্যতের জন্য। আমি গুণকীর্তন করবো দেশের জনগণের। দেশে প্রবৃদ্ধি হচ্ছে কি না, কর্মসংস্থান হচ্ছে কি না, এটা আপনারা ভালো জানেন। ২০০১ সালে ৫৬ দশমিক ৭ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে ছিল। সেটা কমে এখন ২০ শতাংশের কাছাকাছি এসেছে। এই যে দারিদ্র্য দূর হলো, এটা কীসের হাত ধরে হয়েছে? স্থিতিশীল অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির কারণেই এটা সম্ভব হয়েছে। সিপিডি বৈশ্বিক পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশকে মূল্যায়ন করলে খুশি হওয়া যেতো। প্রবৃদ্ধি অন্যদের কতটা বাড়ছে, সেটা বললে আমার কাছে পরিষ্কার হতো। এখন সারাবিশ্বে টানাপোড়েন চলছে। সারাবিশ্বে বাণিজ্য যুদ্ধ চলছে। ইউরোপে ব্রেক্সিট নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে অস্থিরতা যাচ্ছে। চীন-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য যুদ্ধ চলছে। এই পরিস্থিতিতে বিশেষ করে আমাদের রপ্তানি-বাণিজ্য একটু ঝুঁকির মধ্যে থাকবেই। চরম বৈশ্বিক মন্দার সময়ও বাংলাদেশের অগ্রগতি থেমে থাকেনি। এই পরিস্থিতিও আমরা প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে অবশ্যই মোকাবিলা করতে পারবো।

বাংলাদেশ সময়: ২০২০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৪, ২০১৯
এমআইএস/একে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।