বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) বাজার ঘুরে এনিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।
পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, চাহিদার তুলনায় দেশে পেঁয়াজ সরবরাহ কম হওয়ায় দাম বাড়তি।
অন্যদিকে ক্রেতারা বলছেন, ব্যবসায়ীদের কারসাজিতে গত চার মাস ধরে বেড়েই চলেছে পেঁয়াজের দাম। সরকারিভাবে বাজার তদারকি হলে দাম নিয়ন্ত্রণে থাকতো। রাজধানীর শ্যামবাজার, কারওয়ান বাজার, মিরপুর স্থানীয় বাজার, খিলগাঁও বাজার থেকে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
রাজধানীর শ্যামবাজারের পাইকারি বাজারে দেশি পেঁয়াজ প্রতি কেজি আকারভেদে ১৭০ থেকে ১৯০ টাকা, মিয়ানমারের পেঁয়াজ মানভেদে ৮০ থেকে ১৬০ টাকা, মিশরের পেঁয়াজ ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা কেজিদরে বিক্রি হচ্ছে। কারওয়ান বাজারের পাইকারি বাজারে দেশি পেঁয়াজ আকারভেদে ১৭০ থেকে ১৯০ টাকা ও মিশরের পেঁয়াজ ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।
অন্যদিকে, কারওয়ান বাজারের খুচরা বাজার, খিলগাঁও বাজার, মিরপুর এলাকার স্থানীয় বাজারে পেঁয়াজ কেজি প্রতি ২০০ থেকে ২১০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।
বর্তমানে পেঁয়াজ যেন দরিদ্র জনগোষ্ঠীর কাছে দুর্লভবস্তু! একারণে অনেকেই এখন ছুটছেন টিসিবির ট্রাক সেলের খোঁজে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করে সেখান থেকে পেঁয়াজ নিয়ে ফিরছেন তারা। টিসিবির ট্রাক সেলে ৪৫ টাকা কেজি দরে চলছে বিক্রি।
দাম বৃদ্ধি নিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। এ বিষয়ে শ্যামবাজারের পাইকারি বিক্রেতা ও অভিসার বাণিজ্যলয়ের ম্যানেজার টিটন রায় বাংলানিউজকে বলেন, বাজারে চাহিদার তুলনায় পেঁয়াজের আমদানি কম। প্রতিদিন ভারত থেকে ৩০০ ট্রাক আসতো। এখন আসে না। এজন্য দাম বাড়ছে। সরবরাহ কমে গেলে দাম কমে যাবে।
তবে ব্যবসায়ীদের একথার সঙ্গে একমত নয় ক্রেতারা। শামিম আহমেদ নামে এক ক্রেতা বাংলানিউজকে বলেন, মুনাফালোভী ব্যবসায়ীরা বেশি লাভের আশায় গত চার মাস ধরে ইচ্ছেমতো দাম বাড়াচ্ছে। সরকারিভাবে বাজার মনিটরিং হলেও দাম নিয়ন্ত্রণে আসতো।
অন্যদিকে টিসিবির ট্রাক সেলে খোলাবাজারে পেঁয়াজ বিক্রি অব্যাহত রয়েছে। সরকারি বন্ধের দিন ছাড়া প্রতিদিন ৪৫ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। বাজার পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত ট্রাক সেলে বিক্রি অব্যাহত থাকবে বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০১ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০১৯
ইএআর/এফএম