হিলি স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীরা জানান, অভ্যন্তরীণ সংকট দেখিয়ে গত ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয় ভারত সরকার। এরপর থেকে বাড়তে থাকে ভারতীয় পেঁয়াজের পাশাপাশিসহ দেশীয় পেঁয়াজের দামও।
শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) সন্ধ্যা পর্যন্ত গত দেড় মাসের ব্যবধানে কেজিপ্রতি ১৪০ টাকা করে বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। বর্তমানে হিলি স্থলবন্দরসহ আশপাশের হাট-বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজ প্রতিকেজি প্রকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ১৯০-২১০ টাকায়। আর পাতাসহ দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯০-১১০ টাকার মধ্যে।
হিলি স্থলবন্দরের ব্যবসায়ী মোবারক হোসেন বাংলানিউজকে জানান, আমরা অনেক ব্যবসায়ী এখন অলস সময় কাটাচ্ছি। প্রতিদিনই ভারতের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে যোগাযোগ করছি। কিন্তু বাংলাদেশে আমদানিতে কোনো সুখবর পাচ্ছি না। বর্তমানে আমরা পেঁয়াজের আমদানি করার চিন্তাটা মাথা থেকে বাদ দিয়েছি। তবে বাজার নিয়ন্ত্রণ এবং আমদানি বাড়াতে সরকারের দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। না হলে বাজারে পেঁয়াজের দাম অনেক বেড়ে যাবে। শুধু মিয়ানমার থেকে যৎসামান্য পেঁয়াজ আমদানি করে বাজার সামাল দেওয়া কোনো ভাবেই সম্ভব নয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ব্যবসায়ী বাংলানিউজকে জানান, হিলি স্থলবন্দরের অন্তত ৮-১০ জন ব্যবসায়ী তাদের পুরনো এলসির পেঁয়াজ ভারত থেকে আমদানি করতে না পারায় তাদের কয়েক কোটি টাকা আটকে গেছে। এতে করে ব্যবসায়ীরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
হিলি বাজারের খুচরা ব্যবসায়ী মঈনুল হোসেন বাংলানিউজকে জানান, কোনো ভাবেই পেঁয়াজের দামের অস্থিরতা কমছে না। কাস্টমারদের সঙ্গে আমাদের প্রায় সময় দাম নিয়ে দু-কথা হচ্ছে। বলা যায়, পেঁয়াজের বাজার এখন পাগলা-ঘোড়া হয়ে গেছে। এখনই লাগাম ধরে না টানলে সামনে লক্ষণ আরও খারাপ হতে পারে!
স্থানীয় পর্যায়ে কয়েকটি হাট-বাজার ঘুরে দেখা গেছে, শুক্রবার সকাল থেকে হিলি বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজ প্রতিকেজি ১৮০-২০০ টাকায় বিক্রি হলেও সন্ধ্যায় তা ১৯০ থেকে ২১০ টাকা পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। মিয়ানমারের পেঁয়াজের দাম একই। আর পাতাসহ দেশীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯০-১১০ টাকায়।
বাংলাদেশ সময়: ২১২০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০১৯
এসএইচ