শুক্রবার (১৬ নভেম্বর) দুপুরে মেহেরপুর টাউন হলে উপ-কর কমিশন মেহেরপুর সার্কেলের আয়োজনে চার দিনব্যাপী আয়কর মেলা-২০১৯ উদ্বোধন শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, সরকার বিগত ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ২ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করেছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, পাশের দেশ ভারত এবং নেপালে করদাতার সংখ্যা আমাদের চাইতে অনেক বেশি। তাই করদাতার সংখ্যা বাড়াতে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতে নানামুখি কাজ করছে সরকার। এজন্যই দেশব্যাপী করমেলার আয়োজন করা হচ্ছে। মানুষকে কর দিতে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। যাতে তারাও কর দিয়ে একটি মর্যাদায় পৌঁছাতে পারেন।
তিনি আরও বলেন, আয়কর দেওয়া জনগণের দায়িত্ব। একজন সুনাগরিক হিসেবে তাকে কর দিতে হবে। কারণ, করের টাকায় রাস্তা-ঘাট, হাসপাতালসহ স্কুল-কলেজের অবকাঠামো তৈরি হবে। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। তাই মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়ন হচ্ছে। আর সে কারণেই প্রতি বছর করের পরিমাণও বাড়ছে।
এনবিআর এবং অর্থ মন্ত্রণালয়কে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, করের ভীতি দূর করায় দেশে আজ নতুন নতুন করদাতা সৃষ্টি হচ্ছে। কর দেওয়ার ক্ষেত্রে আজ দেশে উৎসব মুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। করমেলার ফলে মানুষ কর সমন্ধে জানতে পারছে। যারা এ বছর কর দিতে পারছেন তারা আগামীতে কর দেওয়ারও সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন।
উপজেলা হাসপাতালগুলোতে ডাক্তাররা থাকছেন না এমন প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, অচিরেই দেশে আরও নতুন ডাক্তার নিয়োগ দেওয়া হবে। বর্তমানে উপজেলা হাসপাতালগুলোতে ৭/৮ জন করে ডাক্তার রয়েছেন। সেখানে আর ৮/৯ জন করে নতুন ডাক্তার দেওয়া হবে।
কর কমিশনের যুগ্ম কর কমিশনার মু. মুহিতুর রহমানেরসভাপতিত্বে আয়কর মেলায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার প্রশান্ত কুমার রায়, মেহেরপুরের জেলা প্রশাসক মো. আতাউল গনি, পুলিশ সুপার এস এম মুরাদ আলি, আয়কর আইনজীবী সভাপতি অ্যাড. এসএম ইব্রাহিম শাহীন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মেহেরপুর সার্কেলের অতিরিক্ত সহকারী কর কমিশনার মোহাম্মদ ইরানুর রহমান।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও গাংনী উপজেলা চেয়ারম্যান এমএ খালেক, গাংনী পৌরসভার মেয়র মো. আশরাফুল ইসলাম, আইনবিষয়ক সম্পাদক কেএম আতাউল হাকিম লাল মিয়া, প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়-১৬২০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০১৯
আরএ