শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে দুই দিনব্যাপী এ বাণিজ্য সম্মেলন সমাপ্ত হয়। শনিবার (১৬ নভেম্বর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিটি থেকে এ তথ্য জানা যায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশ প্রথম বাণিজ্য সম্মেলনে বৃহত্তর পরিসরে দুই দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক গড়ার লক্ষ্যে নানান সম্ভাবনা ও বাধা চিহ্নিত করা হয়। সম্মেলনে উভয় দেশের নীতি নির্ধারক ও বিশেষজ্ঞরা সম্মিলিতভাবে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির সম্ভাব্য সব বিষয় গভীরভাবে পর্যালোচনা করেন।
সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন বাংলাদেশে বিনিয়োগ, বাণিজ্য সহজীকরণ, শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়ন শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে আলোচকরা বাংলাদেশে বর্তমানে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ বিরাজ করছে উল্লেখ করে অস্ট্রেলিয়ার বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগে আহ্বান জানান। একই সঙ্গে এসময় বাংলাদেশের বিভিন্ন পণ্যের মান উন্নত করার ক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়ার কারিগরী সহায়তাও কামনা করা হয়।
এছাড়া শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়ন সেশনে কারিগরী শিক্ষার মান উন্নয়ন, উচ্চশিক্ষার অধিকতর সুযোগ, বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়ার ভিসাপ্রাপ্তির বিভিন্ন বাধা, অস্ট্রেলিয়ায় প্রশিক্ষণ-পুনঃপ্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ বাংলাদেশী কর্মী সৃষ্টি ও তাদের কর্মসংস্থান বিষয়েও সম্মেলনে আলোচনা করা হয়।
একই সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ায় অবকাঠামো, খনিজ শিল্প ও বয়স্ক সেবা খাতে বাংলাদেশী সনদপত্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রস্তাবও উত্থাপন করা হয়। এ বিষয়ে অস্ট্রেলিয়া ও বাংলাদেশের সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে যৌথভাবে কাজ করা প্রয়োজন বলে আলোচকরা মত প্রকাশ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২২১২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০১৯
জিসিজি/এইচজে