মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে পেঁয়াজের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে ডাকা সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা জানান।
এসময় বাণিজ্য সচিব ড. জাফর উদ্দিনসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন, পেঁয়াজ নিয়ে বিপদে আছি। আজ যে পেঁয়াজ আসার কথা ছিল সেটা লোডিং পর্যায়ে সমস্যা হওয়ায় বুধবার সন্ধ্যায় ঢাকায় পৌঁছাবে। একই সঙ্গে কাল থেকে প্রতিদিন আড়াই হাজার টন পেঁয়াজ আসবে। এছাড়া টিসিবির মাধ্যমে কার্গো প্লেনে আসবে ৫০ হাজার টন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, প্লেনে আনা পেঁয়াজ টিসিবির মাধ্যমে বিক্রি হবে। এক্ষেত্রে সরকার ভর্তুকি দেবে। কাল পেঁয়াজবাহী কার্গো দেশে পৌঁছালেই চার-পাঁচশ ট্রাক ভরে সারা দেশে ছড়িয়ে দেবো যাতে সব জায়গায় দামটা কমে যায়। এছাড়া আগামী সাতদিনের মাথায় নতুন পেঁয়াজ বাজারে আসবে। তখন পেঁয়াজের দাম পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
‘আমরা খোঁজ নিয়ে জেনেছি মোটামুটিভাবে পেঁয়াজের দাম কমেছে। দেশে বর্তমানে ১২০ থেকে সর্বোচ্চ ১৭০ টাকায় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। ১৭০ টাকা শুধু পাবনায় বিক্রি হচ্ছে। অন্য জেলাগুলোতে ১২০ থেকে ১৪০ টাকায় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। আশা করছি কাল-পরশুর মধ্যে দাম কমে আসবে। ’
তিনি বলেন, কার্গো প্লেনে আজ যে পেঁয়াজ আসার কথা সেটা ২৪ ঘণ্টা পিছিয়ে কাল সন্ধ্যায় আসবে। কারণ লোড করতে গিয়ে টেকনিক্যাল সমস্যা হয়েছে। তবে আজ রাতেই লোড হবে। আশাকরছি কাল রাতেই চলে আসবে। তবে কত টন করে পেঁয়াজ আসবে তার সঠিক হিসাব নেই। সাধারণত ১২০ থেকে ২০০ টনের কার্গো প্লেন আসবে। এছাড়া মিশর থেকে যেগুলো আসার কথা সেটা লোড হয়েছে। সেটা আগামীকাল রাতের মধ্যে আসতে পারে।
২০ থেকে ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন ফ্লাইটে দেশে পেঁয়াজ আসবে বলে জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, প্রতিদিন একটি করে কার্গোতে পেঁয়াজ আসবে। আপাতত যেটা আসবে সেটা যাত্রীবাহী প্লেনে করে আসবে। মিশর, তুরস্ক, ইজমির ও ইস্তাম্বুল থেকে দু’তিন দিনের মধ্যে পেঁয়াজ আসবে। ২০ তারিখ রাতে সৌদি এয়ারলাইন্স করে প্রথম চালান আসবে। মিশর থেকে ফুল কার্গো প্লেনে করে ২১ তারিখ সন্ধ্যা ৬টায় আসবে। ২২ তারিখ রাত ১ টায় যাত্রীবাহী প্লেনে আসবে তুরস্ক থেকে। একই দিন সৌদি এয়ারলাইন্সে করে মিশর থেকে আসবে রাত ১টায়। ২৬ নভেম্বর তুরস্ক থেকে আসবে দুপুর ৩.২৫ মিনিটে। মোট ২০, ২১, ২২ ও ২৬ তারিখে কার্গো ও যাত্রীবাহী প্লেনে পেঁয়াজ আসবে।
তিনি বলেন, আমাদের প্রতিবছর ৭/ ৯ লাখ মেট্রিকটন পেঁয়াজের ঘাটতি থাকে। ভারত বন্ধ করে দেওয়ায় এখন আমাদের মিশর ও তুরস্কের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে। গতবছর এসময়ে দেশে ১ লাখ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছিল। এবছর মাত্র ৭৬ হাজার টন আমদানি হয়েছে। বছরে আমাদের ২৪ থেকে ২৫ লাখ টন পেঁয়াজের চাহিদা রয়েছে। আর গড়ে প্রতিসাসে ২ লাখ টন। রমজানে লাগে ৫ লাখ টন। গত দুই মাসে এক লাখ টনও পেঁয়াজ আনতে পারিনি। এতোকিছু মধ্যে ভালো খবর হলো আমাদের দেশের পেঁয়াজ ওঠা শুরু হয়েছে। ফলে পেঁয়াজর দাম কিছুটা কমেছে। আশা করছি ৭ দিনের মধ্যেই পেঁয়াজের দাম স্বাভাবিক হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০১৯
জিসিজি/এএ