ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

ফের ঊর্ধ্বমুখী পেঁয়াজের বাজার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০১৯
ফের ঊর্ধ্বমুখী পেঁয়াজের বাজার

ঢাকা: গত চার মাস ধরেই দেশের পেঁয়াজের বাজার অস্থিতিশীল। এ সময়ের মধ্যে কখনও দাম বাড়ছে আবার কখনো কিছুটা কমছে। সবশেষ ২৭০ টাকা কেজি পর্যন্ত দাম বেড়ে যায় পেঁয়াজের।

এ অবস্থায় সংকট কাটাতে সরকার তুরস্ক, মিশর, মিয়ানমার, পাকিস্তানসহ কয়েকটি দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু করে। সরকারি উদ্যোগ নেওয়ায় কমতে থাকে দাম।

একইসঙ্গে দেশি নতুন পেঁয়াজ বাজারে আসায় তার প্রভাবও পড়ে। এতে পেঁয়াজের দাম কমে ১৬০ টাকায়ও বিক্রি হয়। তবে হঠাৎ করে গত দুই দিন ধরে পেঁয়াজের দাম আবারও ২০০শর ঘরে চলে গেছে।

এ অবস্থায় পাইকারি বাজারের সঙ্গে খুচরায়ও দাম বেড়েছে পেঁয়াজের। বর্তমানে রাজধানীর খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২১০ টাকা কেজি দরে, মিয়ানমারের পেঁয়াজ ১৮০ টাকা, মিশর ও চায়নার পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকা কেজি দরে।  

শনিবার (২৩ নভেম্বর) রাজধানীর শ্যামবাজার, কারওয়ান বাজারসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে এ চিত্র উঠে এসেছে।

কেজিপ্রতি ১০ টাকা বেড়ে রাজধানীর সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজারখ্যাত শ্যামবাজারে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা কেজি দরে, মিয়ানমারের পেঁয়াজ ১৩০ থেকে ১৫০ টাকায়, মিশরের পেঁয়াজ ১০০ থেকে ১০৪ টাকায়, চায়না পেঁয়াজ ১০০ টাকায়, পাকিস্তান থেকে প্লেনযোগে আসা পেঁয়াজ ১৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

অন্যদিকে কারওয়ান বাজারের পাইকারি বাজারে কেজিপ্রতি ১০ থেকে ১৫ টাকা বেড়ে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা কেজি দরে, মিয়ানমারের পেঁয়াজ ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায়, মিশরের পেঁয়াজ ১১০ থেকে ১১৬ টাকায়, চায়না পেঁয়াজ ১০০ থেকে ১০৫ টাকা কেজি দরে।

এছাড়া কারওয়ান বাজারের খুচরা বাজার, শান্তিনগর, খিলগাঁও বাজার, রামপুরা ও মালিবাগ বাজারে দেশি পেঁয়াজ খুচরায় বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২১০ টাকা কেজি দরে, মিয়ানমারের পেঁয়াজ ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায়, মিশরের পেঁয়াজ ১২০ থেকে ১২৫ টাকায়, চায়না পেঁয়াজ ১১০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে।

তাছাড়া এসব বাজারে নতুন দেশি পেঁয়াজ কেজিপ্রতি ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা, গাছসহ পেঁয়াজ ১২০ থেকে ১৪০ টাকা কেজি দরে।

শ্যামবাজারের আমদানিকারক পাইকারি পেঁয়াজ বিক্রেতা টিটন রায় বলেন, বাজারে আমদানি না থাকায় দাম বেশি। এর আগে ভারতের পেঁয়াজ সরবরাহ বেশি ছিলো তাই দাম কম ছিলে, এখন সেটা নেই। তাছাড়া প্লেনযোগে আসা পাকিস্তানি পেঁয়াজের দাম বেশি। আমদানি বেশি হলে দাম কমে আসবে।

একই কথা বলেন কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ী খালেক মিয়া। এ ব্যবসায়ী বলেন, পাইকারি বাজারে পাকিস্তানি পেঁয়াজ এলেও দাম অনেক বেশি। আমদানি পেঁয়াজের দাম কম হলে বাজারে সব পেঁয়াজের দাম কমে আসবে। তবে দেশি পেঁয়াজ বাজারে আসছে, কয়েকটা দিন অপেক্ষা করলে দাম কমে আসবে পেঁয়াজের।

অন্যদিকে বাজার পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়ায় অব্যাহত রয়েছে টিসিবির খোলা বাজারে ট্রাকসেলে পেঁয়াজ বিক্রি। দীর্ঘ সময় ধরে সারিবদ্ধ লাইনে দাঁড়িয়ে পেঁয়াজ কিনতে দেখা গেছে ক্রেতাদের। প্রতিদিন একেকটি ট্রাকযোগে এক হাজার কেজি পেঁয়াজ বিক্রি করছে। বাজার পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত আমাদের বিক্রি অব্যাহত থাকবে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

বাংলাদেশ সময়: ১৪২০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০১৯ 
ইএআর/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।