রোববার (২৪ নভেম্বর) রাজধানীর মতিঝিলে এফবিসিসিআই ভবনে ‘নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রী’ নিয়ে এক বৈঠকে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জাবাবে এ কথা বলেন তিনি।
সাংবাদিকের প্রশ্ন ছিল অসাধু ব্যবসায়ী যাদের বলা হচ্ছে, যারা দাম বাড়িয়েছে তাদের চিহ্নিত করা হয়েছে কিনা।
উত্তরে এফবিসিসিআই’র সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম বলেন, ‘আমরা কোনো রেগুলেটরি বডি না। আমরা ট্রেড অরগানাইজেশন, আমাদের কাজ ট্রেড ফ্যাসিলেশন এবং পলিসি অ্যাডভোকেসি। চিহ্নিত করা ও শাস্তি দেওয়া আমাদের কাজ না। ’
এসময় প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারপারসন ও সাবেক সিনিয়র সচিব (বাণিজ্য মন্ত্রণালয়) মফিজুল ইসলাম বলেন, ব্যবসায়ীদের চিহ্নিত করার বিষয়ে আমরা কাজ করছি। সেপ্টেম্বরের ২৯ তারিখ ভারত যখন পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে তার পরদিন থেকেই পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। আমরা তথ্য অনুসন্ধান করছি। যারা পেঁয়াজের সাপ্লাই চেইনের সঙ্গে জড়িত এবং যারা আমদানিকারক সবার কাছ থেকে তথ্য নেওয়ার চেষ্টা করছি। তথ্য আমরা যাচাই-বাছাই করি। যদি দেখি যে তারা কোনোভাবে যোগসাজশ করে দাম বাড়িয়েছে, তাহলে আমরা বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের আইনের আওতায় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেবো।
ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই বৈঠকের আয়োজন করে। ‘নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রীর বছরব্যাপী চাহিদা, উৎপাদন, আমদানি, মজুদব্যবস্থা, সরবরাহ ব্যবস্থাপনা ও যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণের প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা’ শীর্ষক গোলটেবিল এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০১৯
এমআইএস/জেডএস