ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

আবারও চড়া পেঁয়াজের বাজার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০১৯
আবারও চড়া পেঁয়াজের বাজার

ঢাকা: বেশ কয়েক দিন ধরে দেশের পেঁয়াজের বাজার অস্থিতিশীল। এসময়ের মধ্যে ধাপে ধাপে দাম বাড়তে থাকে। সর্বশেষ ২৭০ টাকা কেজি পর্যন্ত দাম বেড়ে যায় পেঁয়াজের। পেঁয়াজ সংকট কাটাতে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগ নেওয়া হয়। তুরস্ক, মিশর, মিয়ানমার, চীন, পাকিস্তান থেকে আমদানি শুরু হয়। দ্রুত সময়ে সরকারি উদ্যোগ নেওয়ায় কমতে থাকে দাম। ২৭০ টাকা থেকে মাত্র চার দিনের ব্যবধানে ১৬০ টাকা কেজিতে নেমে আসে পেঁয়াজের দর।

সপ্তাহ শেষ হতে না হতে আবারও দফায় দফায় বাড়তে থাকে রান্নায় অতিপ্রয়োজনীয় মসলাজাতীয় পণ্যটির। বর্তমানে বাজারে প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ ২৫০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।

এতে করে সরকারের পেঁয়াজ আমদানি, ব্যবসায়ীদের উদ্যোগ, বাজার নিয়ন্ত্রণের নানা ঘোষণার কোনো সুফলই দেখছেন না ক্রেতারা।

সোমবার (২৫ নভেম্বর) রাজধানীর রামপুরা, মালিবাগ, শান্তিনগর, ফকিরাপুল, মতিঝিল টিঅ্যান্ডটি ও খিলাগাঁও বাজার ঘুরে এসব চিত্র উঠে এসেছে।

এসব বাজারে একেক বিক্রেতা একেক রকম দামে পেঁয়াজ বিক্রি করছেন। দেশি পেঁয়াজ ২২০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ২৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে। অন্যদিকে আমদানি করা বিভিন্ন (বার্মা, মিশর, তুরস্ক, চীন) দেশের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ২০০ টাকার মধ্যে। দেশি নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা, গাছসহ পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৫০ টাকার মধ্যে।

শান্তিনগর বাজারের বিক্রেতা হাসিবুল জানান, বাজারে দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ কম, যা আছে তার চড়া দাম। এরসঙ্গে অন্য পেঁয়াজেরও দাম বেড়েছে।

রামপুরা বাজারের আল-আমিন জেনারেল স্টোরের বিক্রেতা শফিকুল জানান, যাদের কাছে আগের পেঁয়াজ আছে, তারা ২২০ থেকে ২৩০ টাকার মধ্যে বিক্রি করছেন। তবে যেসব ব্যবসায়ীরা সোমবার পাইকারি বাজার থেকে পেঁয়াজ কিনেছেন, তারা ২৫০ টাকা বিক্রি করতে হচ্ছে। এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, এখন পাইকারি বাজারে এর দাম অনেক বেশি।

এদিকে, বাজারে গাছসহ দেশি পেঁয়াজের দামও বেশ চড়া। এসব পেঁয়াজ ১০০ টাকা থেকে এখন তা বেড়ে বাজার ১৩০ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। বিক্রেতারা বলছেন, চাহিদার তুলনায় পেঁয়াজ বাজারে কম আসায় দাম বাড়তি।

শ্যামবাজারের আমদানিকারক পাইকারি পেঁয়াজ বিক্রেতা টিটন রায় বলেন, বাজারে আমদানি না থাকায় দাম বেশি। এর আগে ভারতের পেঁয়াজ সরবরাহ বেশি ছিল, তাই দাম কম ছিল। এখন সেটা নেই। তাছাড়া প্লেনযোগে আসা পাকিস্তানি পেঁয়াজের দাম বেশি। তবে বাজারে আমদানি বেশি হলে দাম কমে আসবে।  
অন্যদিকে পেঁয়াজের বাজারের পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়ায় অব্যাহত রয়েছে টিসিবির খোলাবাজারে ট্রাকসেলে পেঁয়াজ বিক্রি। দীর্ঘ সময় ধরে সারিবদ্ধ লাইনে দাঁড়িয়ে পেঁয়াজ কিনতে দেখা গেছে ক্রেতাদের। ক্রেতার ভিড় থাকায় বাড়তি চাপ সামলাতে হচ্ছে বিক্রেতাদের। প্রতিদিন একেকটি ট্রাকযোগে এক হাজার কেজি পেঁয়াজ বিক্রি করছে। বাজার পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত বিক্রি অব্যাহত থাকবে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০১৯
ইএআর/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।