এরপর থেকেই মূলত লবণ বিক্রি কমতে থাকে। গত এক সপ্তাহে রাজধানীতে দোকানভেদে বিক্রি হয়নি এক কেজি লবণও! বিক্রেতারা বলছেন, গুজবে কান দিয়ে ক্রেতারা চাহিদার তুলনায় বেশি পরিমাণ লবণ কিনে রেখেছেন।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) রাজধানীর গুলবাগ, শান্তিবাগ, চামেলিবাগ, খিলগাঁও, মালিবাগ, কারওয়ান বাজার এলাকা ঘুরে দেখা যায় এমন চিত্র।
ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এসব এলাকায় গত সপ্তাহের সোমবার (১৮ নভেম্বর), মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) ও বুধবার (২০ নভেম্বর) ক্রেতারা চাহিদার চেয়ে তিন থেকে ১০ গুণ পর্যন্ত লবণ কেনেন। দোকানে অন্য মালামাল দেদারছে বিক্রি হলেও লবণ বিক্রি হচ্ছে না।
চামেলিবাগের মুদি দোকানী মামুন বাংলানিউজকে বলেন, গত সপ্তাহের সোম/মঙ্গলবার দোকানের সব লবণ বিক্রি হয়ে গেছে। দাম না বাড়লেও অনেক ক্রেতা তিন থেকে ১০ কেজি পর্যন্ত লবণ কিনেছেন। এরপর সপ্তাহ হতে চললো অথচ দোকানে কোনো লবণ বিক্রি হয়নি।
ওই এলাকার বাসিন্দা আনোয়ারা বলেন, মাসে আমার এক কেজি লবণের প্রয়োজন হলেও অনেকেই লবণ কিনেছেন তাই আমিও কিনেছি। ভাবছিলাম পেঁয়াজের মতো দাম বেড়ে যায় কি-না। তবে কেনার পরে বুঝতে পারছি সব গুজব ছিল।
কারওয়ান বাজারের বিক্রেতা ও বিসমিল্লাহ জেনারেল স্টোরের মালিক এনায়েত বাংলানিউজকে বলেন, দেশে গুজব রটে লবণ সংকট দেখা দিয়েছে দাম বেড়ে যাবে। আসলে লবণের সংকট ছিল না, দামও বাড়েনি; শুধু বিক্রি বেড়েছিল। কোনো কেনো ক্রেতা ১ বস্তা (২৫ কেজি) লবণও কেনেন। যখন দেখলাম ক্রেতা বাড়ছে তখন আমরা প্রতিজনকে এক কেজি করে লবণ বিক্রি করতে থাকি। যেন সবাই কিনতে পারে। কিন্তু এক সপ্তাহ হতে চলছে কোনো ক্রেতার দেখা নেই।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০১৯
ইএআর/এইচএডি/