ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

সিইউএফএল সংস্কারে জাপানের সহায়তা চাইলেন শিল্পমন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০০৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০১৯
সিইউএফএল সংস্কারে জাপানের সহায়তা চাইলেন শিল্পমন্ত্রী শিল্পমন্ত্রীর সঙ্গে জাপানের রাষ্ট্রদূত। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: সংস্কারের মাধ্যমে চট্টগ্রাম ইউরিয়া ফার্টিলাইজার ফ্যাক্টরি লিমিটেডে (সিইউএফএল) নিরবচ্ছিন্ন উৎপাদন চালু রাখতে জাপানের সহায়তা চেয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। তিনি বলেন, জাপানি টয়ো ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন নির্মিত এ কারখানা দীর্ঘদিন ধরে ইউরিয়া সার উৎপাদন করছে। দবে রিয়্যাক্টরে কারিগরি সমস্যা থাকায় কারখানাটিতে উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। কারখানাটির আধুনিকায়ন ও সংস্কারে জাপানের সহযোগিতা চান তিনি।

বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) শিল্প মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত নাওকি ইতো নূরুল মজিদ মাহমুদ 
হুমায়ূনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এলে এ সহায়তা চান মন্ত্রী। এসময় মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব বেগম পরাগসহ শিল্প মন্ত্রণালয় ও জাপান দূতাবাসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

শিল্পমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে টয়োটা ব্র্যান্ডের গাড়ির ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে। বিশাল বাজার সুবিধা ও জনপ্রিয়তা বিবেচনা করে টয়োটা বাংলাদেশে গাড়ি উৎপাদনে বিনিয়োগ করতে পারে। এ কারখানা স্থাপনের মাধ্যমে তারা বাংলাদেশের চাহিদা মিটিয়ে জাপানের বাজারেও গাড়ি রপ্তানির সুযোগ পাবে।  

এসময় তিনি রাষ্ট্রায়ত্ত চিনি কলগুলোতে বাইব্যাক পলিসির আওতায় ডিস্ট্রিলারি স্থাপনসহ পণ্য বৈচিত্রকরণে জাপানের উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগের পরামর্শ দেন। একইসঙ্গে বাংলাদেশের উদীয়মান স্বাস্থ্য খাতের সুবিধা নিতে মেডিক্যাল ও সায়েন্টিফিক ইক্যুইপমেন্ট উৎপাদনে বিনিয়োগের আহবান জানান নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন।

জাপানের রাষ্ট্রদূত নাওকি ইতো  বলেন, বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত ও সর্ববৃহৎ উন্নয়ন অংশীদার হতে পেরে জাপান গর্বিত। স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতিতে গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসেবে জাপান কাজ করে যাচ্ছে। বর্তমানে মাতারবাড়ি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্প, মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চল, মেট্রোরেলসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পে জাপানি বিনিয়োগ রয়েছে।  

বাংলাদেশে টয়োটা গাড়ি উৎপাদনের লক্ষ্যে একটি বাস্তবসম্মত অটোমোবাইল পলিসি প্রণয়নের ওপর গুরুত্ব দেন তিনি। এ পলিসি প্রণয়নে জাপান বাংলাদেশকে কারিগরি সহায়তা দিতে আগ্রহী বলে উল্লেখ করেন এ রাষ্ট্রদূত।  

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করে নাওকি ইতো বলেন, তার প্রাজ্ঞ নেতৃত্বে বাংলাদেশ দ্রুত অর্থনৈতিক অগ্রগতির পথ ধরে এগিয়ে যাচ্ছে। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত দেশের কাতারে পৌঁছাবে। একসময় বাংলাদেশের তৈরি গাড়ি জাপানের বাজারেও বিক্রি হবে।  

বাংলাদেশে মোটরসাইকেল শিল্পের বিকাশে এর রেজিস্ট্রেশন ফি ও ট্যাক্স যৌক্তিক পর্যায়ে নির্ধারণের ওপর গুরুত্ব দেন তিনি। ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া সার কারখানা প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশে অভ্যন্তরীণ যোগান থেকে সার সরবরাহ বাড়বে বলে আশাপ্রকাশ করেন জাপানি রাষ্ট্রদূত। জাপান টোব্যাকো বাংলাদেশ সরকারকে বিপুল পরিমাণে রাজস্ব দিচ্ছে উল্লেখ করে তামাক শিল্পের ওপর আরোপিত এক্সাইজ ডিউটি যৌক্তিককরণের আহবান জানান তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০১৯ 
জিসিজি/একে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।