বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) রাজধানীর বিয়াম মিলনায়তনে এ বিষয়ে রূপরেখা চূড়ান্তকরণ কর্মশালায় এ তথ্য জানানো হয়। কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন শিল্পসচিব মো. আবদুল হালিম।
বিশেষ অতিথি ছিলেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান, শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সালাউদ্দিন মাহমুদ এবং বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) চেয়ারম্যান মো. মোশতাক হাসান।
অনুষ্ঠানে ৩১ জেলা প্রশাসনের প্রতিনিধি, বিসিক, জেলা চেম্বার, জাতীয় ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প সমিতি (নাসিব) এবং ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
এসময় শিল্পসচিব বলেন, সম্প্রতি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে ‘এসএমই নীতিমালা ২০১৯’ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। নীতিমালায় সরকারের উন্নয়ন রূপকল্পগুলো বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ২০২৪ সালের মধ্যে জাতীয় আয়ে (জিডিপি) এসএমই খাতের অবদান বিদ্যমান ২৫ শতাংশ থেকে ৩২ শতাংশে উন্নীতকরণের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
একইসঙ্গে জিডিপিতে শিল্প খাতের অবদান বিদ্যমান ৩৫.১ ভাগ থেকে ৪০ ভাগে উন্নীত করার লক্ষ্য সরকারের। কারণ ২০৪১ সালে এসএমই খাতের ওপর ভর করে শিল্প খাতের কাঙ্ক্ষিত উন্নতি হলেই বাংলাদেশ উন্নত দেশের কাতারে যেতে পারবে।
অনুষ্ঠানে ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সফিকুল ইসলাম জানান, গত অর্থবছরে দেশের আট বিভাগের ২৩ জেলায় সফলভাবে আঞ্চলিক মেলা আয়োজনের ধারাবাহিকতায় চলতি অর্থবছরে দেশের আট বিভাগের ৩১টি জেলায় আঞ্চলিক এসএমই পণ্য মেলা আয়োজনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
জেলাগুলো হলো- পঞ্চগড়, দিনাজপুর, লালমনিরহাট, গাইবান্ধা, জয়পুরহাট, নওগাঁ, রাজশাহী, সিরাজগঞ্জ, মেহেরপুর, ঝিনাইদহ, মাগুরা, যশোর, সাতক্ষীরা, ময়মনসিংহ, শেরপুর, গাজীপুর, নরসিংদী, নারায়ণগঞ্জ, গোপালগঞ্জ, শরীয়তপুর, পটুয়াখালী, পিরোজপুর, ভোলা, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, ব্রাহ্মণবাড়ীয়া, চাঁদপুর, ফেনী, চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০১৯
জিসিজি/টিএ