শনিবার (৩০ নভেম্বর) মার্সেল থেকে পাঠানো এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, মার্সেলের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-৫ এর আওতায় ‘মার্সেল ফ্রিজ উইন্টার ফেস্টিভ্যাল ৩০০ ফ্রিজ ফ্রি’ অফারে পুরস্কার পান সুমি।
প্রসঙ্গত, অনলাইনে দ্রুত ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবার লক্ষ্যে সারাদেশে ডিজিটাল ক্যাম্পেইন চালাচ্ছে মার্সেল। এখন চলছে সিজন-৫। এর মাধ্যমে ক্রেতার নাম, ফোন নম্বর এবং ক্রয়কৃত পণ্যের মডেল নম্বরসহ বিস্তারিত তথ্য মার্সেলের সার্ভারে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। ফলে ওয়ারেন্টি কার্ড হারিয়ে গেলেও দেশের যেকোনো মার্সেল সার্ভিস সেন্টার থেকে সহজেই কাঙ্খিত সেবা নিতে পারছেন গ্রাহকরা। এ কার্যক্রমে ক্রেতাদের উদ্বুদ্ধ করতে ‘ফ্রিজ উইন্টার ফেস্টিভ্যাল অফার’ ঘোষণা করেছে মার্সেল। এর আওতায় মার্সেলের একটি ফ্রিজ কিনে আরও একটি ফ্রি অথবা বিভিন্ন অঙ্কের নিশ্চিত ক্যাশব্যাকের সুযোগ পাচ্ছেন ক্রেতারা।
এ অফারের আওতায় চলতি মাসের শুরুতে উপজেলার নবীগঞ্জে মার্সেলের এক্সক্লুসিভ পরিবেশক শোরুম ‘মেসার্স কদম রসুল এন্টারপ্রাইজ’ থেকে ২১৩ লিটারের একটি ফ্রিজ কেনেন সুমি। ফ্রিজটি কেনার পরপরই তা ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করেন তিনি। এর কিছুক্ষণ পরেই তার মোবাইল ফোনে মার্সেল থেকে একটি ম্যাসেজ যায়। দেখেন- উইন্টার ফেস্টিভ্যাল অফারের আওতায় মার্সেলের একটি ফ্রিজ কিনে আরও একটি ফ্রি পেয়েছেন।
গত ১৬ নভেম্বর ক্রেতা সুমির হাতে ফ্রি পাওয়া ফ্রিজটি তুলে দেন মার্সেলের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর চিত্র নায়ক আমিন খান। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় ব্যবসায়ী আমির হোসেন ও আব্দুস সালাম, মার্সেলের হেড অব সেলস ড. সাখাওয়াৎ হোসেন, ‘মেসার্স কদম রসুল এন্টারপ্রাইজ’র মালিক ফারুক আহমেদ ইরনসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।
আমিন খান বলেন, ‘মার্সেল দেশীয় প্রতিষ্ঠান। গাজীপুরে রয়েছে নিজস্ব বিশাল ফ্যাক্টরি। সেখানে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও মেশিনারিজে তৈরি হচ্ছে বিশ্বমানের মার্সেল পণ্য। সেসব পণ্য ক্রেতাদের হাতে সাশ্রয়ী মূল্যে তুলে দেওয়ার পাশাপাশি দ্রুত ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবাও নিশ্চিত করছে। বছর জুড়েই মার্সেল পণ্যের জন্য থাকছে বিভিন্ন রকম সুবিধা। এত সব সুবিধা থাকায় স্থানীয় বাজারে দ্রুত গ্রাহক প্রিয়তা অর্জন করে চলেছে দেশীয় ব্র্যান্ড মার্সেলের পণ্য।
ক্রেতা সুমি বলেন, একটি ফ্রিজ কিনতে এসে পেলাম দু’টি। এ যেন স্বপ্নের মতো লাগছে। বিজ্ঞাপন ও স্থানীয় প্রচার-প্রচারণার মাধ্যমে মার্সেলে ফ্রিজের অফার সম্পর্কে জানতাম। কিন্তু নিজেই যে একটি ফ্রিজ ফ্রি পেয়ে যাবো তা ভাবিনি। জীবনে এই প্রথম কোনো পণ্য কিনে কিছু ফ্রি পেয়েছি। সেজন্য ফ্রি পাওয়া ফ্রিজটি নিজেই ব্যবহার করবো। আর কেনা ফ্রিজটি ননদকে উপহার দেবো।
কর্তৃপক্ষ জানায়, মার্সেলের রয়েছে শতাধিক মডেল ও ডিজাইনের ফ্রস্ট ও নন-ফ্রস্ট রেফ্রিজারেটর এবং ডিপ ফ্রিজ। এসব ফ্রিজের দাম ১০ হাজার টাকা থেকে ৬৯ হাজার ৯০০ টাকার মধ্যে। ইন্টেলিজেন্ট ইনভার্টার, ন্যানো হেলথ কেয়ার ও এন্টি ফাংগাল ডোর গ্যাসকেট প্রযুক্তির ব্যবহার, এক বছরের রিপ্লেসমেন্ট গ্যারান্টি, কম্প্রেসরে ১২ বছরের গ্যারান্টি, বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইন্সটিটিউশনের (বিএসটিআই) ফাইভ স্টার এনার্জি রেটিং, স্থানীয় আবহাওয়ার উপযোগী করে দেশেই তৈরি হয় বলে ব্যাপক গ্রাহক প্রিয়তা পাচ্ছে মার্সেল ফ্রিজ।
প্রকৌশলীরা জানান, নিজস্ব কারখানায় সর্বাধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি হচ্ছে মার্সেল ফ্রিজ। এসব ফ্রিজে ব্যবহার করা হচ্ছে বিশ্ব স্বীকৃত সম্পূর্ণ পরিবেশ বান্ধব এইচএফসি গ্যাসমুক্ত আর ৬০০ এ রেফ্রিজারেন্ট। আন্তর্জাতিক মান যাচাইকারী সংস্থা নাসদাত-ইউনিভার্সাল টেস্টিং ল্যাব থেকে মার্সেলের প্রতিটি ফ্রিজের মান নিশ্চিত করেই বাজারে ছাড়া হচ্ছে। দ্রুত ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা দিতে সারাদেশে মার্সেলের রয়েছে ৭২টি সার্ভিস সেন্টার। এছাড়াও রয়েছে পাঁচ বছরের ফ্রি বিক্রয়োত্তর সেবা।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২১ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০১৯
আরআইএস/