বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) রাজধানীর টিসিবি ভবনে বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন আয়োজিত ব্যবসায়ী ও ক্রেতার স্বার্থ সংরক্ষণে বাজারে সুষ্ঠু প্রতিযোগিতা নিশ্চিতকরণ সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
ফরাসউদ্দিন বলেন, আমাদের সংবিধানে বলা হয়েছে, প্রয়োজনে উচ্চবিত্তদের বেশি হারে করারোপ করে সেই অর্থ দিয়ে দরিদ্র, নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য স্কুল, কলেজ, মাদরাসা এবং হাসপাতাল নির্মাণ করে বাংলাদেশকে কল্যাণমুখী রাষ্ট্র করতে হবে।
তিনি বলেন, আমি যে মডেল নিয়ে কাজ করি সেই মডেলের লগারিদম বলছে মাথাপিছু নিট আয় শতকরা ৯ শতাংশ হলে আটবছরে মাথাপিছু আয় দ্বিগুণ হবে। অর্থাৎ ২০২৪ সালে ২৫০০ ডলার হলে ২০৩২ সালে হবে ৫ হাজার ডলার। ২০৪০ সালে হবে ১০ হাজার ডলার। আমরা পথচলার মধ্যেই থাকবো।
অর্থনীতির জন্য শক্তিশালী এবং বাংলাদেশের জন্য যুগান্তকারী পদক্ষেপ প্রতিযোগিতা কমিশন উল্লেখ করে ফরাসউদ্দিন বলেন, ১৮১৯ সালে প্রথম প্রতিযোগিতা কমিশন আইন প্রণীত হয় কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রে। জাপানে ১৯৪৭ সালে আইনটি গৃহিত হয়। এশিয়ার ১৭টিসহ বিশ্বের ১৩৩টি দেশে এই আইন আছে।
১৯৭০ সালের প্রচলিত আইন বাতিল ও রহিত করে ২০১২ সালে প্রতিযোগিতা আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। প্রতিযোগিতা কমিশন বাজার নিয়ন্ত্রক এবং উন্নয়নের ভূমিকা পালন করে।
প্রতিযোগিতা কমিশনের কাঠামো নিয়ে ফরাসউদ্দিন বলেন, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি পদমর্যাদার একজন চেয়ারম্যান থাকতে পারে। একজন ফলিত অর্থনীতিবিদ সদস্য, শিল্প ও উৎপাদন বিষয়ক কোর কমিটি গঠন করলে ভালো হবে। প্রো-অ্যাকটিভভাবে কর্মকান্ড চালাতে হবে, রি-অ্যাকশন হিসেবে নয়।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন- বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এমপি, সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য ড. শামসুল আলম, বাণিজ্য সচিব জাফর উদ্দিন, এফবিসিসিআই সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম ও প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারপারসন মো. মফিজুল ইসলাম ও সদস্য আব্দুর রউফ প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০১৯
এসই/এইচএডি/