ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

সঞ্চয়পত্র ছাড়া ব্যাংক থেকে ঋণ নিচ্ছে সরকার: অর্থমন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৫২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০১৯
সঞ্চয়পত্র ছাড়া ব্যাংক থেকে ঋণ নিচ্ছে সরকার: অর্থমন্ত্রী

ঢাকা: সরকার আগে সঞ্চয়পত্র থেকে ঋণ নিলেও এবারই প্রথম ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি বলেন, আগে সঞ্চয়পত্র থেকে পরে ঘাটতি থাকলে ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়া হলেও এবার বিপরীত প্রক্রিয়া করা হয়েছে।

বুধবার (১৮ ডিসেস্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সম্মেলন কক্ষে অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ব্যাংকগুলো খালি করে ফেলছে সরকার, সরকার সব টাকা ব্যাংক থেকে নিয়ে যাচ্ছে, এসব কথা বলা হয়।

সরকার ব্যাংক থেকে সব টাকা নেবে কেন? যাদের জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য তাদের বেনিফিটে হাত দেওয়া হবে না।

এ বিষয়ে অর্থসচিব সচিব আব্দুর রউফ তালুকদার বলেন, চলতি বছরের ৩১ অক্টোবর নাগাদ লোন নেওয়া হয়েছে ৩৬ হাজার ১৬৭ কোটি টাকা। এর মধ্যে ব্যাংক থেকে ৩০ হাজার ৬০০ কোটি টাকা এবং সঞ্চয়পত্র থেকে ৫ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। গত বছর একই সময় লোন ছিল ২৬ হাজার ৯০০ কোটি টাকা। তখন ছিল উল্টো চিত্র। পাঁচ হাজার ২০০ কোটি ছিল ব্যাংক থেকে এবং সঞ্চয়পত্রে ছিল ২১ হাজার ৬৬২ কোটি।

ব্যাংক থেকে লোন নেওয়ায় কোনো সমস্যা হচ্ছে কিনা জানতে চাইলে অর্থসচিব বলেন, গত বছর ৩১ অক্টোবর নাগাদ ব্যাংকে ডিপোজিট বেড়েছিল ৮ হাজার ৮০০ কোটি টাকা। এ বছর একই সময় এটা বেড়েছে ২৮ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। অর্থাৎ ২০ হাজার কোটি টাকা বেড়েছে। সঞ্চয়পত্র থেকে ধার করিনি সেটা কিন্তু ব্যাংকে চলে এসেছে এবং ব্যাংকে কিন্তু লিক্যুইডিটি ক্রাইসিস নেই।

বিল বন্ড মার্কেট রিভাইব করেছে এবং এর মাধ্যমে ক্যাপিটাল মার্কেট রিভাইব করলাম। সঞ্চয়পত্র বিক্রিতে ধস নামেনি, যারা বেশি টাকার কিনতো তাদেরটা বন্ধ করা হয়েছে। যাদের বেশি টাকা রয়েছে তাদের সাবসিডি দিতে পারি না। এ অর্থবছরে ৭৪ হাজার কোটি টাকা ধারের টাকা নেওয়ার কথা রয়েছে। এর মধ্যে মাত্র ৩৬ হাজার ১৬৭ কোটি টাকা নেওয়া হয়েছে বলে জানান অর্থসচিব।

আরও পড়ুন>> নেপাল থেকে ৩৮ হাজার কোটি টাকার বিদ্যুৎ কিনছে বাংলাদেশ

বাংলাদেশ সময়: ২০৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০১৯
জিসিজি/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।