ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

নতুন খাতে অ্যাক্রেডিটেশন সনদের উদ্যোগ জোরদার করতে হবে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩১২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০১৯
নতুন খাতে অ্যাক্রেডিটেশন সনদের উদ্যোগ জোরদার করতে হবে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠানে শিল্পমন্ত্রী। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: গুণগত শিল্পায়নের লক্ষ্য অর্জনে নতুন নতুন খাতে স্বীকৃতি সনদ দেওয়ার উদ্যোগ জোরদার করতে বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন বোর্ডের (বিএবি) কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নির্দেশনা দিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার সবসময় গুণগত শিল্পায়নকে অগ্রাধিকার দিয়ে আসছে। শিল্পপণ্য ও সেবার গুণগতমানের বিষয়ে সরকার কখনো আপস করেনি, ভবিষ্যতেও করবে না।

সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) শিল্প মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বিএবি আয়োজিত আন্তর্জাতিক মান সংস্থার মান অনুযায়ী বিভিন্ন দেশীয় ও বহুজাতিক গবেষণাগার এবং সার্টিফিকেশন সংস্থার অনুকূলে অ্যাক্রেডিটেশন সনদ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন শিল্পমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে বিএবির সনদ পেয়েছে আটটি প্রতিষ্ঠান।

নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেন, শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্রচেষ্টায় বিএবি ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট অংশীদারদের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছে। দেশের শিল্পখাতে অমিত সম্ভাবনা রয়েছে। এ সম্ভাবনা কাজে লাগাতে সরকারি-বেসরকারী অংশীদারিত্বে শিল্পায়ন প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে হবে।

যেসব খাতে অ্যাক্রেডিটেশন সনদ প্রদানের জন্য আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জনের ইস্যু বিবেচনাধীন, সেগুলো দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য বিএবি কর্মকর্তাদের তাগিদ দেন মন্ত্রী।  

অনুষ্ঠানে শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার বলেন, শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন কোনো কারখানা বেসরকারিখাতে দেওয়া হবে না। পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের মাধ্যমে এগুলো লাভজনক করার লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার।  

শিল্প-কারখানায় বিনিয়োগে উৎসাহী দেশি-বিদেশী প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে আসার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, ইতোমধ্যে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে এবিষয়ে সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। রাষ্ট্রায়ত্ত চিনি শিল্পের লোকসানী অবস্থা কাটাতে কাজ না করে বেতন ও ওভারটাইম নেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

অনুষ্ঠানে বিএবির সনদপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে- বাংলাদেশি ল্যাবরেটরি ঢাকার ওটিএস (প্রা.) লিমিটেড, বহুজাতিক ল্যাবরেটরি জার্মানভিত্তিক টুভ সুড বাংলাদেশ, তুরস্কভিত্তিক ল্যাবরাইট বাংলাদেশ লিমিটেড, আমেরিকাভিত্তিক মডার্ন টেস্টিং সার্ভিসেস (বিডি) লিমিটেড, গাজীপুরের ক্রিয়েটিভ ওয়াস লিমিটেড ল্যাবরেটরি, মির্জাপুরের নোমান টেরি টাওয়েল টেস্টিং ল্যাবরেটরি, চট্টগ্রামের মেডিক্যাল ল্যাবরেটরি এপিক হেলথ কেয়ার এবং ঢাকার সার্টিফিকেশন সংস্থা কেজিএস কোয়ালিটি অ্যাকশন লিমিটেড।

শিল্পসচিব মো. আবদুল হালিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিএবির মহাপরিচালক মো. মনোয়ারুল ইসলাম। সনদপ্রাপ্ত ল্যাবরেটরি ক্রিয়েটিভ ওয়াস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও হা-মীম গ্রুপের স্বত্বাধিকারী মো. আবুল কালাম আজাদ, এপিক হেলথ কেয়ারের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার এস এম লোকমান কবির এবং বহুজাতিক ল্যাবরেটরি টুভ সুডের বাংলাদেশের কান্ট্রি প্রধান সতীশ কুমার সমুরাজ আলোচনায় অংশ নেন। এসময় মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দপ্তর-প্রতিষ্ঠানের প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০১৯ 
জিসিজি/একে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।