সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক এর সঙ্গে মন্ত্রণালয়ে তার অফিস কক্ষে ঢাকায় নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজেন্ডার আই ইগনাতভ এর নেতৃত্বে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে কৃষিমন্ত্রী এ কথা বলেন।
দুই দেশের মধ্যে এমওপি সার আমদানি নিয়ে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বাংলাদেশ ও রাশিয়ার ৪৮ বছরের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক দুই দেশের রাজনীতি, অর্থনীতি ও সাংস্কৃতিক উন্নয়নে অবদান রাখছে। বাংলাদেশ সৃষ্টির সময় থেকে রাশিয়া এ দেশের অকৃত্রিম বন্ধু। ১৯৭১ সালে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের সহায়তায় বাংলাদেশের জনগণ চিরদিন মনে রাখবে। বাংলাদেশের আমদানিকৃত সারের সিংহভাগ আসে রাশিয়া থেকে।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, দেশের বিদ্যুৎখাতে রাশিয়া অনেক বিনিয়োগ করেছে এবং এটা অব্যাহত থাকবে। কৃষি ও মৎস্য উন্নয়নে সহযোগিতা বৃদ্ধিতেও উভয় দেশ সম্মত হয়। বণিজ্যিক ভিত্তিতে শাক-সবজি চাষে রীতিমতো বৈপ্লবিক অগ্রগতি হয়েছে। কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাত ও রপ্তানিতে রাশিয়ার সহযোগিতা চান তিনি।
রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজেন্ডার আই ইগনাতভ বলেন, বাংলাদেশ-রাশিয়া সম্পর্ক অনেক দিনের। দু’দেশের এ সম্পর্ক রাজনীতি, অর্থনীতি ও সাংস্কৃতিক উন্নয়নে অবদান রাখছে। রাশিয়া সরকার বাংলাদেশে পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র তৈরিতে বড় ধরনের বিনিয়োগ করছে। অন্য শিল্প-বাণিজ্যের প্রসারেও রাশিয়া বিনিয়োগ করছে। আর ভবিষ্যতে দু’দেশের সুসম্পর্কের মাধ্যমে এসব বিনিয়োগ কার্যক্রমকে এগিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, রাশিয়া যেসব দেশ থেকে আলু আমদানি করে এর মধ্যে বাংলাদেশের আলুর মান ভালো। এক্ষেত্রে বিভিন্ন অনুজীবের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। এছাড়া বাংলাদেশ যেসব কৃষিজাত পণ্য রপ্তানি করতে চায় তার একটি তালিকাও চেয়েছেন রাষ্ট্রদূত। রাশিয়ার বাজারে বাংলাদেশের পণ্য প্রবেশকে স্বাগত জানান তিনি।
কৃষিমন্ত্রীর উপস্থিতিতে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে কৃষি সচিব মো. নাসিরুজ্জামান ও অতিরিক্ত সচিবসহ রাশিয়ার প্রতিনিধিদলে আরও ছিলেন বৈদেশিক বাণিজ্য দপ্তরের প্রধান আলেকজেন্ডার মোসকালেংকো, জেএসসি প্রোডিংটর্গ জেনারেল ডাইরেক্টর পোটাপোভ মিখাইল পেটরোভিস প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০১৯
জিসিজি/জেডএস