শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) ছিল মেলার শেষ দিন। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে গত ২৪ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়ে টানা পাঁচদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলে এ মেলা।
মেলার শেষ দিনে ক্রেতা-দর্শনার্থীদের ব্যস্ত সময় কাটাতে দেখা যায়। ফ্ল্যাট, প্লট, বাড়ি তৈরির উপকরণ, আইনি সহায়তা, আর্থিক প্রতিষ্ঠান সবই ছিল রিহ্যাবের মেলায়। তবে ক্রেতাদের নজর ছিল মূলত প্লট আর ফ্ল্যাটের দিকেই।
ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে মেলবন্ধনের এমন অসাধারণ সুযোগ সৃষ্টি করতে পেরে খুশি আয়োজক প্রতিষ্ঠান রিহ্যাব। রিহ্যাবের প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট লিয়াকত আলী ভূঁইয়া গণমাধ্যমকে জানান, যারা মেলায় এসেছেন বেশির ভাগই ফ্ল্যাট ও প্লট কেনার খোঁজ-খবর নিয়েছেন। অনেকে বুকিং দিয়েছেন। মেলার পরে আরও ছয় মাস এসব ক্রেতার কাছে ফ্ল্যাট ও প্লট বিক্রি হবে বলে আশা করছি। এই মেলার মাধ্যমে আবাসন খাতের বেচাকেনা বাড়বে বলেও আশাপ্রকাশ করেন তিনি।
রিহ্যাবের ভাইস প্রেসিডেন্ট কামাল মাহমুদ বলেন, ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে সমন্বয় ঘটাতে এই মেলার আয়োজন। আমাদের আয়োজন সফল হয়েছে। এবারের মেলায় অসংখ্য প্রবাসী এসেছেন, যারা মেলায় ফ্ল্যাট বা প্লটের খোঁজ নিয়েছেন। আমরা আশাবাদী, প্রবাসীরা আবাসন খাতে বিনিয়োগ করবেন।
এবারের মেলায় ১৬০টি প্রতিষ্ঠানের মোট ২৩০টি স্টল অংশ নেয়। আবাসন কোম্পানি ছাড়াও মেলায় ৩০টি বিল্ডিং ম্যাটেরিয়ালস কোম্পানি, ১৪ অর্থলগ্নিকারী প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করে।
গত ২৪ ডিসেম্বর গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম রিহ্যাব মেলার উদ্বোধন করেন।
বাংলাদেশের সময়: ২১১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০১৯
আরকেআর/একে