বেনাপোল থেকে ভারতের প্রধান বাণিজ্যিক শহর কলকাতার দূরত্ব মাত্র ৮৪ কিলোমিটার। যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়ার কারণে মূলত এ পথে দুই দেশের ব্যবসায়ীদের প্রথম থেকে বাণিজ্যে আগ্রহ বেশি।
আমদানিকারক নুরুজ্জামান বাবু বাংলানিউজকে জানান, অবকাঠামোগত সমস্যা ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসারে প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সংকীর্ণ রেলপথের পাশাপাশি রেলস্টেশনে পর্যাপ্ত ইয়ার্ড ও ইঞ্জিন না থাকায় পণ্যবাহী রেলকার্গো নিয়ে দিনের পর দিন অপেক্ষা করতে হয়। এছাড়া বেনাপোল স্টেশনে পণ্য খালাসের ব্যবস্থা না থাকায় ৫০ কিলোমিটার দূরে নওয়াপাড়ায় নিয়ে খালাস করতে হয়। এতে ভোগান্তির পাশাপাশি অতিরিক্ত অর্থ গুনতে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের।
পণ্যবাহী ভারতীয় রেল ওয়াগন পরিচালক উত্তম মল্লিক বাংলানিউজকে জানান, বেনাপোল রেলস্টেশনে পর্যাপ্ত ইয়ার্ড না থাকায় তারা মালামাল নিয়ে বাংলাদেশে ঢুকতে পারেনা।
বেনাপোল আমদানি রপ্তানি সমিতির সহ-সভাপতি আমিনুল হক বাংলানিউজকে জানান, বাংলাদেশ রেলের অভিজ্ঞতা আছে, তারা আইসিটি পরিচালনা করছে সেখানে তাদের অগ্রাধিকার দিলে এটা এক থেকে দেড় বছরের মধ্যে ভারতীয় অর্থায়নে করলে তারা এগিয়ে আসবে বলে আমার বিশ্বাস।
সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের সাধারণ সম্পাদক ইমদাদুল হক লতা বাংলানিউজকে জানান, বেনাপোল স্টেশনে কন্টেইনার টার্মিনাল চালু হলে পদ্মাসেতু হয়ে ঢাকার সঙ্গে কলকাতার ব্যবসা বাণিজ্যের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে।
বেনাপোল রেলস্টেশন মাস্টার শহিদুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান,
বেনাপোল রেলস্টেশনে কনটেইনার টার্মিনাল নির্মাণ ও অবকাঠামোগত সমস্যার সমাধানে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে। এছাড়া ইঞ্জিন ও ইর্য়াডের সমস্যা আছে। যদি ইর্য়াডের লাইন বাড়ানো থাকতো তাহলে বেশি আমদানি করা যেত।
১৯৯৯ সালে বেনাপোল দিয়ে রেলপথে ভারতের সঙ্গে আমদানি বাণিজ্য শুরু হয়। গত এক বছরে এ পথে রেল কার্গোতে ভারত থেকে ১২ হাজার ৭৭০ টন পণ্য আমদানি হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৯
এনটি