সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) শিল্প মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ স্টিল ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আয়োজিত বৈঠকে তিনি এ নির্দেশনা দেন। বৈঠকে দেশের উদীয়মান স্টিল শিল্পের সম্ভাবনা ও সমস্যা নিয়ে আলোচনা হয়।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, জননিরাপত্তার স্বার্থে এ ধরনের প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হবে। এর পাশাপাশি যেসব রড উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান অনুমোদন ছাড়াই অনৈতিকভাবে বিএসটিআইয়ের লোগো ব্যবহার করছে, সেগুলোর বিরুদ্ধেও আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, দেশীয় শিল্পের স্বার্থরক্ষায় সরকার সম্ভব সব ধরনের সহায়তা দেবে। গুণগতমানের স্টিল শিল্প উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর যৌক্তিক দাবি সরকার গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করবে। তিনি এমএস রডের ওপর যৌক্তিকহারে মার্কিং ফি নির্ধারণের বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেন।
এ সময় অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা জানান, বর্তমানে দেশের স্টিল শিল্পখাতে বিশ্বমানের রড উৎপাদিত হচ্ছে। প্রয়োজনীয় পৃষ্ঠপোষকতা পেলে দেশীয় কারখানার উৎপাদন থেকে অভ্যন্তরীণ চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানির সুযোগ রয়েছে। এক শ্রেণির অসাধু উদ্যোক্তা ভেজাল ও নিম্নমানের রড উৎপাদনের মাধ্যমে এ শিল্পের সুনাম ক্ষুণ্ন করছে বলেও তারা অভিযোগ করেন।
বৈঠকে অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা ভেজাল খাদ্যের বিরুদ্ধে পরিচালিত অভিযানের মতো ভেজাল ও নিম্নমানের রড উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধেও বিএসটিআই’র অভিযান জোরদারের তাগিদ দেন। একইসঙ্গে তারা স্টিল শিল্পে যৌক্তিকহারে মার্কিং ফি নির্ধারণের দাবি জানান।
বৈঠকে শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. হেলাল উদ্দিন এনডিসি, বাংলাদেশ স্টিল ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি শেখ মাসাদুল আলম মাসুদ, বর্তমান কমিটির সিনিয়র সহসভাপতি জহিরুল হক চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মো. শহিদ উল্লাহ, পরিচালক মো. আবুল কালাম, হারুনূর রশিদ, মো. কামরুল ইসলাম, আশরাফ সিদ্দিকীসহ অন্য নেতা এবং শিল্প মন্ত্রণালয় ও বিএসইসি’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১২২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৯
জিসিজি/ওএইচ/