ঢাকা, শনিবার, ১৩ পৌষ ১৪৩১, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

থাইল্যান্ডে পণ্য রপ্তানিতে সুবিধা চাইলেন বাণিজ্যমন্ত্রী

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৮, ২০২০
থাইল্যান্ডে পণ্য রপ্তানিতে সুবিধা চাইলেন বাণিজ্যমন্ত্রী

ঢাকা: বাংলাদেশের সঙ্গে থাইল্যান্ডের বাণিজ্য ব্যবধান কমাতে সে দেশে ৩৬টি পণ্য রপ্তানিতে সুবিধা চেয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের সঙ্গে থাইল্যান্ডের বাণিজ্য ব্যবধান কমাতে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে ডিউটি ফ্রি, কোটা ফ্রি সুবিধা প্রয়োজন। আরও ৩৬টি পণ্য থাইল্যান্ডে রপ্তনির ক্ষেত্রে বাণিজ্য সুবিধা দেওয়া হলে উভয় দেশের বাণিজ্য বাড়বে এবং বাণিজ্য ব্যবধান কমে আসবে।

এছাড়া বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের জন্য দীর্ঘমেয়াদী ভিসা দেওয়া হলে দেশটিতে বাণিজ্য সহজ হবে।

বুধবার (০৮ জানুয়ারি) থাইল্যান্ডের ব্যাংককে বাংলাদেশ-থাইল্যান্ড জয়েন্ট ট্রেড কমিটির (জেটিসি) পঞ্চম সভায় তিনি এ কথা বলেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে এখন চমৎকার বিনিয়োগের পরিবেশ বিরাজ করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে দেশের বিভিন্ন এলাকায় ১০০টি স্পেশাল ইকোনমিক জোন গড়ে তোলার কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। থাইল্যান্ডের বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে হেল্থ সেক্টরে বিনিয়োগ করলে লাভবান হবেন। থাইল্যান্ড যৌথ উদ্যোগে বাংলাদেশে উন্নতমানের হসপিটাল নির্মাণ করলে বাংলাদেশ সরকার সহায়তা দেবে। এতে করে উভয় দেশ উপকৃত হবে। এ হিসেবে থাইল্যান্ডের মেডিক্যাল সেক্টরের বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশ সফর করলে বিনিয়োগের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ সহজ হবে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ প্রয়োজনীয় সবধরনের সহযোগিতা দেবে।

টিপু মুনশি বলেন, গত ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে বাংলাদেশ থাইল্যান্ডে ৪৪.০৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি করেছে। একই সময়ে আমদানি করেছে  ৯৫২.৪৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য। বাংলাদেশ চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, ওষুধ, সামদ্রিক মাছ ও অন্যান্য প্রাণিজ পণ্য, কাগজ ও কাগজের পাল্প, সাবান, প্লাস্টিক পণ্য এবং রাবার রপ্তানি করছে। বাংলাদেশের আরও অনেক পণ্যের প্রচুর চাহিদা রয়েছে থাইল্যান্ডে। সুবিধা পাওয়া গেলে থাইল্যান্ডে রপ্তানি বৃদ্ধি করা সম্ভব। থাইল্যান্ড এবং বাংলাদেশ ‘ওয়ান বেল্ড ওয়ান রোড’ উদ্যোগের সদস্য। এতে উভয় দেশ বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে লাভবান হবে।

এদিকে, বাণিজ্যমন্ত্রী থাইল্যান্ডে রপ্তানিযোগ্য বাংলাদেশের ৩৬টি পণ্যের তালিকা থাই কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করেছেন। পরে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে উত্থাপিত বিষয়গুলো থাইল্যান্ড সরকার সহানুভূতির সঙ্গে বিবেচনা করবে বলে সভায় জানানো হয়।

থাইল্যান্ডের বিনিয়োগকারীরা অল্প সময়ের মধ্যে বাংলাদেশে বিনিয়োগের উদ্দেশে স্পেশাল ইকোনমিক জোন পরিদর্শন করবেন। এছাড়া উভয় দেশ কৃষি ও স্বাস্থ্য সেবা খাতে কারিগরি সহযোগিতা বৃদ্ধি করতে একমত হয়েছে।

জয়েন্ট ট্রেড কমিটির পঞ্চম সভায় থাইল্যান্ডের পক্ষে সে দেশের বাণিজ্যমন্ত্রী জুরিন লক্ষ্মনাওত নেতৃত্ব দেন।

সভায় থাইল্যান্ডে নিয়ুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. নাজমূল কোয়াওনি ও বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ-থাইল্যান্ড জয়েন্ট ট্রেড কমিটির ষষ্ঠ সভা সুবিধাজনক সময়ে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৮, ২০২০
জিসিজি/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।