ঢাকা, শনিবার, ১৩ পৌষ ১৪৩১, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

ডিমের দাম বাড়তি, সবজিতে স্বস্তি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০২০
ডিমের দাম বাড়তি, সবজিতে স্বস্তি ডিম-সবজি। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অন্যান্য বাজার সেরে ডিম কিনে ফিরছিলেন ফার্মগেটের নাজমুল আহমেদ। তবে সবজির বাজারে কিছুটা স্বস্তি মিললেও ডিমের দামে তার একটু ক্ষোভ।

কথা হলে তিনি বাংলানিউজকে বলেন, কী বলবো ভাই, এদেশে ডিমের দামও যখন-তখন বেড়ে যায়। মাসখানেক আগেও প্রতি হালি ডিম কিনেছি ৩২ টাকায়।

এখন সেটা ৩৮ টাকা।

শনিবার (১৮ জানুয়ারি) রাজধানীর কারওয়ান বাজারসহ (খুচরা বাজার) হাতিরপুল বাজার ও মগবাজারের বাজার ঘুরে দেখা যায়, বিভিন্ন বাজারে পণ্যের দাম ওঠানামা করছে দিনের ব্যবধানে। কিছু পণ্যের দাম কমেছে আবার কোনো পণ্যের দাম বেড়েছে। কিছু পণ্যের দাম রয়েছে অপরিবর্তিত। তবে সবজায়গাতেই চড়া ডিমের বাজার।

বসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রাজধানীর বিভিন্ন খুচরা বাজারে গত ডিসেম্বরেও ডিম বিক্রি হয়েছে ৩২-৩৪ টাকা হালি। ওই মাসের শেষ ভাগে এসে ডিমের দাম বেড়ে হয় ৩৪-৩৬ টাকা। আর বর্তমানে প্রতিহালি ডিমের দাম ৩৮ টাকা। অর্থাৎ একটি ডিমের দাম পড়ছে সাড়ে ৯ টাকা। এ ছাড়া হাঁসের ডিম বিক্রি হচ্ছে প্রতি ডজন ১৫০ টাকায়।

ডিমের দাম বাড়ার কারণে ক্ষোভ ক্রেতাদের। তারা বলছে, সমস্যা হলে একটা সময় ডিমের দাম বাড়তে পারে। তাই বলে ধারাবাহিকভাবে বাড়ার কোনো যুক্তি নেই।

তবে ব্যাবসায়ীদের কথা, চাহিদার তুলনায় উৎপাদন হচ্ছে না ডিম। ফলে দাম বাড়ছে।

এ প্রসঙ্গে কারওয়ান বাজারের ডিমের আড়তদার হাজী শফিকুল ইসলাম বলেন, চাহিদা যেভাবে বাড়ছে, ডিমের উৎপাদন সেভাবে হচ্ছে না। সেই কারণে ডিমের দাম বাড়ছে।

এদিকে সপ্তাহ এবং বাজারের ব্যবধানে ক্রেতাদের হাতের নাগালে এসেছে সবজির বাজার। বাজারে বিভিন্ন সবজির দাম কমেছে কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা। একইভাবে আগের দামে মাছ-মাংস বিক্রি হলেও কমেছে পেঁয়াজের দাম। অপরিবর্তিত আছে চাল-ডালের বাজার।

শনিবার বাজারে প্রতিকেজি শিম বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা, বেগুন ৩০ থেকে ৬০ টাকা, নতুন আলু ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, পুরানো আলু ৩৫ টাকা, পটল ৩০ থেকে ৫০ টাকা, ঝিঙে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, করলা ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, পেঁপে ১৫ থেকে ২৫ টাকা, গাজর বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা, টমেটো ৪০ থেকে ৪৫ টাকা এবং শসা ৪০ থেকে ৫০ টাকা। এছাড়া আকারভেদে বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা, ফুলকপি ২০ থেকে ৩০ টাকা, লাউ ৩৫ থেকে ৫০ টাকায়। আর বিভিন্ন ধরনের শাকের দাম রয়েছে ৫ থেকে ২৫ টাকার মধ্যে প্রতি আঁটি।

এদিকে দেশি পেঁয়াজ কেজিতে ৪০ টাকা কমে এখন তা বিক্রি হচ্ছে কেজিতে ১১০টাকা। তবে আমদানি করা পেঁয়াজ আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া মিশরের পেঁয়াজ ৮৫ টাকা, চায়না পেঁয়াজ ৬৫ টাকা কেজিদরে বিক্রি করতে দেখা গেছে বাজারে। আর দাম বেড়ে প্রতিকেজি কাঁচা মরিচ ৬০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

খুচরা ক্রেতাদের দাবি, সব ধরনের সবজির দাম আরও কম হওয়া উচিত। শীত মৌসুমে সবজির ঘাটতি নেই। কিন্তু দাম কমছে না।

ওবায়দুল ইসলাম নামে এক সবজিবিক্রেতা বলেন, কাঁচামালের সঠিক দাম বলাটা কঠিন। যেদিন যে পণ্যের ঘাটতি থাকে, সেদিন সেটির দাম বেড়ে যায়। অনেকটা কাঁচামাল সরবরাহের ওপরই নির্ভর করে সবজির বাজার।

এছাড়া বাজারে অপরিবর্তিত আছে মাছ ও মাংসের দাম। আর আগের বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে ভোজ্যতেল। খোলা সয়াবিন বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ৯৫ টাকা লিটার। চাল, ডাল, আদা, রসুন, সরিষার তেল, এলাচ, দারুচিনি ধরে রেখেছে আগের মূল্যই।

বাংলাদেশ সময়: ১০১৫ জানুয়ারি ১৮, ২০২০
এইচএমএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।