ঢাকা, বুধবার, ২১ কার্তিক ১৪৩১, ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

সঙ্কট মোকাবেলায় সোয়া তিন লাখ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৫৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০২০
সঙ্কট মোকাবেলায় সোয়া তিন লাখ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি

ঢাকা: ‘চলতি অর্থবছরে (গতবছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত) বিভিন্ন দেশ থেকে সোয়া তিন লাখ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে। এই পেঁয়াজ ও বাজারে নতুন পেঁয়াজ আসতে শুরু করায় পণ্যটির মূল্য কমতে শুরু করেছে।’

মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) সংসদের অধিবেশনে টেবিলে উত্থাপিত দুটি আলাদা প্রশ্নের লিখিত উত্তরে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এ তথ্য জানান। এর আগে বিকেলে সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে দিনের কার্যক্রম শুরু হয়।



সরকার দলীয় সংসদ সদস্য (এমপি) এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের লিখিত জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, ১৯৮৬-৮৭ অর্থবছরে বাংলাদেশের রপ্তানি ছিল মাত্র একবিলিয়ন মার্কিন ডলারের সামান্য বেশি। বিগত ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বাংলাদেশে রপ্তানি আয় হয়েছে ৪৬ দশমিক ৮৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।  

তিনি বলেন, পণ্যভিত্তিক রপ্তানি আয় বিবেচনায় যদিও ৮৪ শতাংশ তৈরি পোশাক থেকে অর্জিত হয়েছে, তবুও রপ্তানি পণ্যের বহুমুখীকরণের ফলে গত অর্থবছরে বিশ্বের ২০২টি দেশে ৭৪৪ পণ্য রপ্তানি হয়েছে।

টিপু মুনশি বলেন, বাংলাদেশে পেঁয়াজ একটি নিত্য প্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্য। বাংলাদেশে বর্তমানে পেঁয়াজের বার্ষিক চাহিদা প্রায় ২৪ লাখ মেট্রিক টন। গত ২০১৮-১৯ অর্থবছর পেঁয়াজের উৎপাদনের পরিমাণ ছিল ২৩ লাখ ৩০ হাজার মেট্রিক টন। তবে এর মধ্যে শতকরা ৩৩ শতাংশ সংগ্রহকালে এবং সংরক্ষণের ক্ষতি বাদ দিলে এর পরিমাণ দাঁড়ায় ১৬ দশমিক ৩১ লাখ মেট্রিক টন।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, উৎপাদিত পেঁয়াজ স্থানীয় চাহিদা মেটানোর পক্ষে যথেষ্ট না হওয়ায় বিদেশ থেকে বিশেষ করে পাশ্ববর্তী দেশ ভারত থেকে প্রতিবছর নির্দিষ্ট পরিমাণ পেঁয়াজ আমদানি করতে হচ্ছে। কিন্তু সম্প্রতি ভারতের মহারাষ্ট্রে বন্যা এবং অতিবৃষ্টি হওয়ার কারণে পেঁয়াজের ফলন ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং ভারতের অভ্যন্তরীণ বাজারে পেঁয়াজের দর বেড়ে যায়। ফলে ভারত সরকার ২০১৯ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর পেঁয়াজের টন প্রতি ৮৫০ ডলার নির্ধারণ করে দেয়।

তিনি বলেন, ভারতের স্থানীয় বাজারে অস্বাভাবিক হারে পেঁয়াজের মূল্য বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে দেশটির সরকার পেঁয়াজের রপ্তানি সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে দেয়। ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশেও পেঁয়াজের বাজারে ক্রম উর্ধ্বগতি দেখা দেয়।  

‘উৎপাদিত পেঁয়াজ স্থানীয় চাহিদা মেটানোর পক্ষে যথেষ্ট না হওয়ায় বিদেশ থেকে বিশেষ করে ভারত, মিয়ানমার, পাকিস্তান, মিশর, তুরস্ক, চীন, ইউক্রেন এবং নেদারল্যান্ডস থেকে পেঁয়াজ আমদানি করে দেশীয় চাহিদা মেটানো হচ্ছে। ’

মন্ত্রী বলেন, দেশে পেঁয়াজের উৎপাদন বাড়ার মাধ্যমে ভবিষ্যতে পেঁয়াজের আমদানি ক্রমান্বয়ে কমিয়ে আনার পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে। এই কার্যক্রমের অংশ হিসেবে সম্প্রতি পেঁয়াজের উৎপাদন বৃদ্ধি, এর গুদামজাতকরণ এবং উৎপাদিত পেঁয়াজের বাজার মূল্য স্থিতিশীল করার জন্য কৃষিমন্ত্রীকে একটি আধা সরকারি পত্র দেওয়া হয়েছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০২০
এসই/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।