ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

বিজিএমইএ ভবন ভাঙার কাজ মনিটর করবে দুই টিম

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০২০
বিজিএমইএ ভবন ভাঙার কাজ মনিটর করবে দুই টিম

ঢাকা: আদালতের রায়ের পর বিভিন্ন অজুহাতে দীর্ঘ কালক্ষেপণের পর অবশেষে ভাঙা শুরু হয়েছে হাতিরঝিল প্রকল্পের বিষফোঁড়া বিজিএমইএ ভবন। ভবন ভাঙার কার্যক্রম পরিচালনা এবং দুর্ঘটনা মোকাবিলায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে গঠন করা হয়েছে দুটি টিম। যারা ভবনটি ভাঙার কাজ সার্বক্ষণিক মনিটরিংয়ে থাকবে। 

সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

টিম দু’টির একটি হলো টপ সুপারিভিশন কমিটি।

এ টিমে রয়েছে রাজউক; বুয়েট; ফায়ার ব্রিগেড; প্রকল্প কর্মকর্তা (সেনাবাহিনী, ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন ব্রিগেড); অথরাইজড অফিসার (রাজউক); হাতিরঝিল প্রকল্প ব্যবস্থাপক এবং হাতিরঝিল প্রকল্প পরিচালক।

এছাড়া সার্বক্ষণিক তদারকি কমিটিতে রয়েছে হাতিরঝিল প্রকল্প পরিচালক; হাতিরঝিল প্রকল্প কর্মকর্তা (সেনাবাহিনী, ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন ব্রিগেড) এবং হাতিরঝিল প্রকল্প ব্যবস্থাপক।

এ বিষয়ে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়েরর সচিব শহিদুল্লাহ খন্দকার বাংলানিউজকে বলেন, মন্ত্রণালয়, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক), বুয়েটের বিশেষজ্ঞ টিম এবং অন্যান্য বিশেষজ্ঞরা ভবন ভাঙার কাজ মনিটরিং করবে। আমরা দুর্ঘটনারোধে আগেই কমিটি গঠন করেছি। আমরা চাই বহুতল এ ভবন ভাঙার সময় যাতে কোনো ধরনের দুর্ঘটনা না ঘটে। সার্বক্ষণিক দেখভাল করবো, আমাদের কাজে সহযোগিতা করবে গঠিত কমিটির বিশেষজ্ঞরা।

এর আগে ২০১১ সালের ৩ এপ্রিল হাইকোর্ট এক রায়ে বিজিএমইএ’র বর্তমান ভবনটিকে ‘হাতিরঝিল প্রকল্পে একটি ক্যানসারের মতো’ উল্লেখ করে রায় প্রকাশের ৯০ দিনের মধ্যে ভবনটি ভেঙে ফেলতে নির্দেশ দেন। এর বিরুদ্ধে বিজিএমইএ লিভ টু আপিল করে, যা ২০১৬ সালের ২ জুন আপিল বিভাগে খারিজ হয়। রায়ে বলা হয়, ‘ভবনটি নিজ খরচে অবিলম্বে ভাঙতে আবেদনকারীকে (বিজিএমইএ) নির্দেশ দেওয়া যাচ্ছে। এতে ব্যর্থ হলে রায়ের কপি হাতে পাওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে রাজউককে ভবনটি ভেঙে ফেলতে নির্দেশ দেওয়া হলো। ’ পরে ভবন ছাড়তে উচ্চ আদালতের কাছে সময় চায় বিজিএমইএ। এরপর ১৬ এপ্রিল সন্ধ্যায় ভবনটিতে তালা ঝুলিয়ে দেয়।  

পরে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) ভবনটি ভাঙার দরপত্র আহ্বানের পর সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে ভবনটি ভাঙতে কাজ পায় ‘সালাম অ্যান্ড ব্রাদার্স’ নামক একটি প্রতিষ্ঠান। তাদের দরপত্র ছিল এক কোটি ৭০ লাখ টাকার। সে অনুযায়ী তাদের কার্যাদেশও দেওয়া হয়। কিন্তু শেষ মুহূর্তে এসে ভবন ভাঙার কার্যক্রম থেকে সরে দাঁড়ায় সালাম অ্যান্ড ব্রাদার্স। ওই সময় সরে যাওয়ায় প্রতিষ্ঠানটির কাছ থেকে ১০ শতাংশ হারে টাকা কেটে নেয় রাজউক। এরপর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দরদাতা প্রতিষ্ঠান ‘ফোর স্টার’ গ্রুপকে কাজ দেয় রাজউক। তাদের দরপত্রে টাকার পরিমাণ ছিল এক কোটি ৫৫ লাখ ৭০ হাজার টাকা। এখন তারা এক কোটি দুই লাখ টাকায় ভবনটি ভাঙার কাজ শুরু করবে।

বাংলাদেশ সময়: ১২৪২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০১৯ 
ইএআর/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।