ঢাকা, রবিবার, ১৪ পৌষ ১৪৩১, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

কেবল যন্ত্রপাতি কিনেই হবে না, দরকার দক্ষ লোক: প্রধানমন্ত্রী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০২০
কেবল যন্ত্রপাতি কিনেই হবে না, দরকার দক্ষ লোক: প্রধানমন্ত্রী

ঢাকা: রংপুর সিটি করপোরেশনের জন্য যানবাহন ও যন্ত্রপাতি ক্রয় প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ১১৩ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। প্রকল্পের আওতায় বেশ কিছু আধুনিক যন্ত্রপাতিও কেনা হবে। 

এ প্রসঙ্গেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, প্রকল্পে শুধু যন্ত্রপাতি কিনলেই হবে না, এগুলো পরিচালনার জন্য দক্ষ জনবলও থাকতে হবে।  

মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) শেরে বাংলা নগর এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক সভার সভাপতিত্বকালে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

 

সভায় মোট ৯টি প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পগুলোর মোট ব্যয় ৬ হাজার ২৭৬ কোটি ২৪ লাখ টাকা। এর মধ্যে বৈদেশিক ঋণ ২ হাজার ৯৬২ কোটি ৩২ লাখ। সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান সংবাদ ব্রিফিংয়ে অনুমোদন পাওয়া প্রকল্পগুলোর বিস্তারিত তুলে ধরেন।

সভায় অনুমোদন পাওয়া অন্যতম প্রকল্প হলো রংপুর সিটি কর্পোরেশনের জন্য যানবাহন ও যন্ত্রপাতি কেনা। এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী বলেন, শুধু যন্ত্রপাতি কিনলেই হবে না, এগুলো পরিচালনার জন্য দক্ষ জনবল থাকতে হবে। যন্ত্রপাতি কিনে ফেলে রাখা যাবে না।

সভায় রংপুর সিটি করপোরেশনের নব-নির্বাচিত মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান প্রধানমন্ত্রীকে আশ্বস্ত করে বলেন, এ প্রকল্প বাস্তবায়নে শিগগিরই একজন প্রকৌশলীর নেতৃত্বে একটি টিম রাজশাহী সিটি করপোরেশনে প্রশিক্ষণ নিতে যাচ্ছে। এ প্রকল্পে যেসব যন্ত্রপাতি কেনা হবে সেগুলো ব্যবহারের অভিজ্ঞতা আছে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের। সে সব ব্যাপারেই তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।  

মেয়র মোস্তাফিজুর রহমানের আশ্বাসের পর একনেক সভায় প্রকল্পটির চূড়ান্ত অনুমোদন দেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন তুলে ধরে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাদের স্পষ্টভাবে বলে দিয়েছেন শুধু যন্ত্রপাতি কিনলেই হবে না, সেসব পরিচালনায় দক্ষ জনবল থাকতে হবে। টাকা দিয়ে যন্ত্রপাতি কিনে যত্রতত্র ফেলে রাখা যাবে না। প্রধানমন্ত্রীর সংশয় ছিল- আধুনিক যন্ত্রপাতি কিনে ব্যবহারের লোক পাওয়া যায় কি না এ নিয়ে।  

প্রকল্পের আওতায় রংপুর সিটিতে একটি অ্যাসফল্ট মিক্সিং প্ল্যান্ট, একটি পেভার ফিনিশার মেশিন, দুটি লোডার, একটি ভ্যাকুয়াম সেপটিক ট্যাঙ্ক ক্লিনার, তিনটি ভাইব্রেটরি সয়েল কম্পেক্টর, দুটি টায়ার রোড রোলার, ১০টি গারবেজ কমপেক্টার, একটি ড্রেন ক্লিনিং জেট অ্যান্ড সাকার মেশিন, একটি লংবুম এক্সভেটরসহ আনুসাঙ্গিক জিনিসপত্র কেনা হবে।

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক, তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশি, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ. ম. রেজাউল করিম, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীরা সভার কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন।

আরও পড়ুন>>> হাতিরঝিল হয়ে সিলেট-চট্টগ্রাম বাইপাসসহ ৯ প্রকল্প অনুমোদন

বাংলাদেশ সময়: ১৬২৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০২০ 
এমআইএস/এইচজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।