শরীরে তাপমাত্রা বেশি থাকায় ওই জাহাজের নাবিক ছয় চায়না নাগরিককে জাহাজের অভ্যন্তরে ওই নাবিকদের কক্ষে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। জাহাজটি চায়না থেকে সিঙ্গাপুর মালায়শিয়া বিভিন্ন দেশ ঘুরে বাংলাদেশে এসেছে।
এর আগে, তারা চট্টগ্রাম বন্দরে যখন প্রবেশ করে তখনও নাবিকদের কারও কারও শরীরের তাপমাত্রা বেশি ছিল। সেখানে যাদের শরীরে তাপমাত্রা বেশি ছিল তাদের কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছিল। কোয়ারেন্টিনে সময় ১৪ দিন শেষ হওয়ার পরেই তারা মোংলা বন্দরে এসেছে বলে জানান মোংলা পোর্ট হেলথ অফিসার সুফিয়া খাতুন।
বন্দর সূত্রে জানা যায়, চায়না পতাকাবাহী কয়লা বোঝাই জাহাজ এমভি চ্যান-হ্যাং-জিং-হাই চট্টগ্রাম হয়ে সোমবার মোংলা বন্দরের হারবারিয়ায় নোঙর করে। নিয়ম অনুযায়ী বিকেলে করোনা শনাক্ত মেডিক্যাল টিম জাহাজটিতে প্রবেশ করে। এসময় মেডিক্যাল টিম ছয় চায়না নাবিকের শরীরে উচ্চ তাপমাত্রা পাওয়া যায়। জাহাজের সব কার্যক্রম বন্ধ করে দেয় বন্দর স্বাস্থ্য বিভাগ।
মোংলা পোর্ট হেলথ অফিসার সুফিয়া খাতুন বলেন, আমরা জাহাজে থাকা নাবিকদের নিয়ম অনুযায়ী পরীক্ষা করেছি। এরমধ্যে ছয় নাবিকের শরীরের তাপমাত্রা বেশি ছিল। তাই জাহাজের সব কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। তাপমাত্রা বেশি থাকা নাবিকদের জাহাজের অভ্যন্তরে আইসোলেশনে থাকতে বলা হয়েছে। ওই নাবিকরা সবাই চীনা নাগরিক।
বাংলাদেশ সময়: ০৫৫৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৮, ২০২০
এনটি