ঢাকা, বুধবার, ৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

খুলনায় পাটকল চালুর দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪০৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০২০
খুলনায় পাটকল চালুর দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ

খুলনা: খুলনার আটরা শিল্পাঞ্চলের ইস্টার্ন গেটে বন্ধকৃত রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল চালুর দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করে পাটকল রক্ষায় সম্মিলিত নাগরিক পরিষদ।

সোমাবার (১৯ অক্টোবর) বেলা ১১টা থেকে ইস্টার্ন গেটে খুলনা যশোর মহাসড়ক অবরোধ শুরু করে শ্রমিকরা।

১১ মিনিট পর পুলিশ এসে তাদের তুলে দিলে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।

এরপর শ্রমিকরা প্রতিরোধ করে। একপর্যায়ে সংঘর্ষ হয়। এ সময় ইটপাটকেল নিক্ষেপ, লাঠিচার্জ ও টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করার ঘটনা ঘটে। এ সংঘর্ষে ৯ জন শ্রমিক ও ৩ জন পুলিশ আহত হয়েছে। একজনকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ সময় পুলিশ ৪ জনকে আটক করেছে।

আহত শ্রমিকদের মধ্যে সাতজনের নাম পাওয়া গেছে। তারা হলেন- নাজমা খাতুন, খাদিজা বেগম, হাফিজা বেগম, সুমি রায়, শেফালী বালা, সুচিত্রা বিশ্বাস, সাফিয়া।  

পুলিশ জানায়, সংঘর্ষ চলাকালে ২ রাউন্ড শর্টগান ও ৭ রাউন্ড টিয়ারসেল নিক্ষেপ করা হয়েছে।

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) এডিসি (উত্তর) সোনালী সেন বলেন, শ্রমিকরা পুলিশের ওপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করলে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তৎপর হয়। এ বিষয়ে বিস্তারিত মিডিয়া সেল থেকে জানানো হবে।     

পাটকল রক্ষায় সম্মিলিত নাগরিক পরিষদের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট কুদরত-ই-খুদা বলেন, শ্রমিকরা শান্তিপূর্ণ অবরোধ শুরু করেন। পুলিশ সবাইকে সরিয়ে দেওয়ার পর উত্তজনা সৃষ্টি হয়। এরপর পুলিশের লাঠিচার্জ ও টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপে ২ জন শ্রমিক আহত হয়। এদের মধ্যে আহমেদ তাসনিম শ্যামলকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আরও একজন নারী শ্রমিক আহত হয়েছেন।

পাটকল রক্ষায় সম্মিলিত নাগরিক পরিষদের নেতারা বলেন, বিজিএমসির দুর্নীতি ও লুটপাটের কারণে পাটকলে লোকসান হয়েছে। লুটপাটের জন্য পাটকল ও পাটশিল্প আজ ধ্বংসের পথে। অথচ বিজিএমসির দুর্নীতি ও লুটপাটের ফলে সৃষ্ট লোকসানের দায় সাধারণ পাটকল শ্রমিকদের ওপর চাপাচ্ছে।

দুর্নীতিবাজদের অন্যায় শাস্তির ফল ভোগ করছেন শ্রমিকেরা। অবিলম্বে পাটকল চালুর দাবি জানান তারা।

শ্রমিক নেতারা আরও বলেন, করোনা ভাইরাস মহামারিতে সরকারি পাটকল বন্ধ করে দেওয়ায় অনেক শ্রমিকের জীবন চলছে পেশার বদল ঘটিয়ে মানবেতরভাবে। কর্মহারা এ শ্রমিকদের কেউ কেউ সহজ পেশা হিসেবে রিকশা চালাচ্ছেন। কেউবা ফল বিক্রেতা কিংবা নির্মাণ শ্রমিকের কাজেও নেমেছেন। আর এখনও কাজ জোগাড় করতে না পেরে বেকার জীবন পার করছেন অনেকে।

ঘেরাও কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া গণসংহতি আন্দোলন খুলনা জেলা কমিটির আহ্বায়ক ও পাটকল রক্ষায় সম্মিলিত নাগরিক পরিষদের সদস্য মুনীর চৌধুরী সোহেল বলেন, বিনা উসকানিতে পুলিশ শ্রমিকদের ওপর হামলা চালায়। এর ফলে ২ জন শ্রমিক গুরুতর জখম হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০২০
এমআরএম/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।