ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

‘উন্নয়ন পরিকল্পনা যেন রূপকল্প-২০৪১ এর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে হয়’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ৪, ২০২০
‘উন্নয়ন পরিকল্পনা যেন রূপকল্প-২০৪১ এর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে হয়’ সভা/

ঢাকা: রূপকল্প ২০৪১-এর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনাসহ সব উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নের পরামর্শ দিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন।  

বুধবার (০৪ নভেম্বর) বাংলাদেশ পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ আয়োজিত অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা (২০২১-২০২৫) দলিলের খাত ভিত্তিক অধ্যায় ০১, ০২ এবং ০৩ এর ওপর জুম প্ল্যাটফর্মে অনুষ্ঠিত এক সভায় তিনি এ পরামর্শ দেন।

তিনি বলেন, উন্নয়নের বর্তমান ধারাকে ধরে রেখে ২০২৪ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি অর্জন করে বাংলাদেশের অর্থনীতি পরবর্তী উচ্চতর অগ্রগতির পথে যাত্রা করবে।

সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, বীরপ্রতীক ও জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এতে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য ও সিনিয়র সচিব ড. শামসুল আলম অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।

শিল্পমন্ত্রী বলেন, করোনা ভাইরাস জনিত ক্ষয়ক্ষতির প্রভাব মোকাবিলায় বিভিন্ন ক্যাটাগরির শিল্প ও সার্ভিস সেক্টরের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক ঘোষিত ৭২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়নের ফলে আমাদের ম্যানুফ্যাকচারিং ও সার্ভিস ইন্ডাস্ট্রি ইতিমধ্যে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা দলিলে রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো শক্তিশালী করার পাশাপাশি ম্যানুফ্যাকচারিং শিল্পখাতের উন্নয়ন এবং সেবাখাত বিকাশের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এর ফলে শিল্পভিত্তিক অর্থনীতি গড়ে তোলার কাজ যেমন এগিয়ে যাবে তেমনি নতুন নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।  

বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, পাট, চামড়া, চা’র মতো স্থানীয় কাঁচামালভিত্তিক যেসকল শিল্পখাতে সর্বোচ্চ মূল্য সংযোজন করা সম্ভব সেগুলোর প্রতি বিশেষ নজর দিতে হবে।  

শতভাগ স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে ন্যায়পাল ব্যবস্থা কার্যকর করার ওপর গুরুত্বারোপ করে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি ও নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে এসএমই খাত অত্যন্ত কার্যকর। এখাতের উদ্যোক্তাদের জন্য সহজ শর্তে ঋণ ও প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করতে হবে।

সভায় মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, বিনিয়োগকারীদের একটি সুখবর হচ্ছে শিল্প স্থাপনে জমি রেজিস্ট্রেশন ও মিউটেশনের কাজ যাতে ৭ দিনের মধ্য নিশ্চিত করা যায় সেরকম একটি ব্যবস্থা শিগগির চালু করা হবে। এতে বিনিয়োগ যেমনি বাড়বে, তেমনি সুশাসনও নিশ্চিত হবে।  

সভায় পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আসাদুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, শ্রম ও কর্মসংস্থান সচিব কে এম আব্দুস সালাম, জনপ্রশাসন সচিব শেখ ইউসুফ হারুন, শিল্প সচিব কে এম আলী আজম, বাণিজ্য সচিব ড. মো. জাফর উদ্দীন, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী, পিপিপি কর্তৃপক্ষের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সচিব পদমর্যাদায়) সুলতানা আফরোজ, টিসিবি’র চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আরিফুল হাসান, সিপিডির সম্মানীয় ফেলো অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান, এমসিসিআইয়ের সেক্রেটারি জেনারেল ফারুক আহমেদ, এসিআইয়ের চেয়ারম্যান আনিস উদ দৌলা, বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রূপালী চৌধুরী সভায় বক্তব্য দেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৪, ২০২০ 
জিসিজি/এইচএডি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।