ঢাকা, শনিবার, ১৩ পৌষ ১৪৩১, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

কমেছে মাছ-মুরগি-সবজির দাম

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৩২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৪, ২০২০
কমেছে মাছ-মুরগি-সবজির দাম মাছের বাজার, ছবি: জি এম মুজিবুর

ঢাকা: সপ্তাহের ব্যবধানে নিম্নমুখী রয়েছে রাজধানীর শাক-সবজির বাজার। অধিকাংশ সবজি কেজিতে পাঁচ থেকে ১০ টাকা কমেছে।

প্রতি মোড়া শাকে কমেছে দুই থেকে তিন টাকা পর্যন্ত।

শাক-সবজির মতো দাম কমেছে মাছ ও মুরগির। সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা কমেছে মাছের। এছাড়া কেজিতে পাঁচ থেকে ১০ টাকা কমেছে মুরগির। অন্যদিকে অপরিবর্তিত আছে চাল, ডাল, আলু, মসলা ও মাংসের দাম।  

শুক্রবার (৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর মিরপুরের মুসলিম বাজার, মিরপুর-১ নম্বর বাজার, ৬ নম্বর বাজার, ১১ নম্বর বাজার, কালশী বাজার ও পল্লবী এলাকা ঘুরে এসব চিত্র উঠে এসেছে।

এসব বাজারে সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে পাঁচ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত দাম কমে প্রতিকেজি সিম বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৮০ থেকে ১০০ টাকা, শসা ৪০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, বেগুন ৪০ থেকে ৮০ টাকা, পেঁপে ২৫ থেকে ৩০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা, কচুর লতি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, চিচিংগা ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ধুন্দল ৫০ টাকা, করলা ৪০ থেকে ৫০ টাকা, উস্তা ৫০ থেকে ৬০ টাকা, বাধা ও ফুল কপি প্রতিপিস ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

দাম কমে বাজারে প্রতি মোড়া লাল শাক বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকা, পালং শাক ১৫ থেকে ২০ টাকা, ডাটা শাক ১৫ টাকা, মুলা শাক ১০ টাকা, লাউ ও কুমড়ার শাক ৩০ টাকায়।

বাজারে প্রতিকেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৬২ থেকে ৬৫ টাকা, আটাশ চাল ৫২ থেকে ৫৩ টাকা, পায়জাম ৫০ থেকে ৫২ টাকা, মিনিকেট প্রকারভেদে ৫৭ থেকে ৬০ টাকা, নাজির ৫৫ থেকে ৫৮ টাকা, পোলাওর চাল ৯০ থেকে ৯৫ টাকা, খোলা ভোজ্যতেল বিক্রি হচ্ছে ১০৫ থেকে ১০৮ টাকায়।

সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ১৫ থেকে ২০ টাকা কমে প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬৫ থেকে ৭০ টাকা, গাছসহ দেশি নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়।  

অপরিবর্তিত আছে মাংসের দাম। তবে দাম কমেছে মাছ ও মুরগির। এসব বাজারে কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত দাম কমে প্রতিকেজি শিং (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ৫০০ টাকা, রুই (আকারভেদে) ১৮০ থেকে ২৮০ টাকা, মৃগেল ১৭০ থেকে ২৫০ টাকা, পাঙাস ১০০ থেকে ১৬০ টাকা, কাতল ১৭০ থেকে ২৮০ টাকা, তেলাপিয়া ১১০ থেকে ১৬০ টাকা, সিলভার কাপ ১০০ থেকে ১৪০ টাকা, কৈ ১৪০ থেকে ১৭০ টাকা, মিরর কাপ ১৬০ থেকে ২০০ টাকা, কাচকি ও মলা বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকায়।

তবে অপরিবর্তিত আছে ডিমের দাম। এসব বাজারে প্রতিডজন লাল ডিম ১০৫ থেকে ১১০ টাকা, দেশি মুরগির ডিম ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা ও হাঁসের ডিম ১৪০ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।  

বাজারে প্রতিকেজি খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৮০ থেকে ৮০০ টাকা, বকরির মাংস ৭২০ থেকে ৭৫০ টাকা, গরুর মাংস ৫৫০ থেকে ৫৮০ টাকা ও মহিশের মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫৮০ থেকে ৬০০ টাকায়।

কেজিতে পাঁচ থেকে ১০ টাকা কমে প্রতিকেজি বয়লার বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা, লেয়ার ২৩০ থেকে ২৪০ টাকা ও সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৪০ থেকে ২৫০ টাকায়।

কালশী বাজারের বিক্রেতা মো. রহিম বাংলানিউজকে বলেন, চলতি সপ্তাহে পেঁয়াজ, সবজি ও ডিমের দাম কমেছে। সবজির দাম আসলে সরবরাহের উপর নির্ভর করে। সরবরাহ বেশি থাকলে দাম কম থাকে আর সরবরাহ কম থাকলে দাম বেশি থাকে।

সাবরিনা সুলতানা রুমী নামে এক ক্রেতা বাংলানিউজকে বলেন, এমনিতেই বাজারে নিত্য দ্রব্যমূল্যের দাম ঊর্ধ্বগতি। শাক-সবজির সরবরাহ শীতকালে এমনিতেই বেশি থাকে। এ কারণেই সপ্তাহের ব্যবধানে শাক-সবজির দাম কমেছে। মুরগি ও মাছের দাম তুলনামূলক একটু কম রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১০৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৪, ২০২০
এমএমআই/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।