ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

কৃষির সম্ভাবনা কাজে লাগাতে পারে বাংলাদেশ-ভারত

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০২০
কৃষির সম্ভাবনা কাজে লাগাতে পারে বাংলাদেশ-ভারত ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: বাংলাদেশ ও ভারতের মানুষের চাহিদা মেটাতে কৃষি পণ্য উৎপাদন বাড়ানোর জন্য একসঙ্গে কাজ করা দরকার। পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে কৃষির যান্ত্রিকীকরণ ও খাদশস্যসহ সব ধরনের ফসলের মান উন্নয়ন, কৃষিপণ্য উৎপাদন প্রক্রিয়াকে আরো আধুনিক করার সুযোগ কাজে লাগাতে পারে উভয় দেশই।

এ জন্য যৌথ উদ্যোগ ও জ্ঞান বিনিময়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক জোরদার করা দরকার।

মঙ্গলবার (২২ ডিসেম্বর) ‘ইন্ডিয়া বাংলাদেশ ডিজিটাল কনফারেন্স অন অ্যাগ্রিকালচার সেক্টর ফলোড বাই বিটুবি সেশন’ শীর্ষক আলোচনায় উভয় দেশের মন্ত্রী ও ব্যবসায়ী নেতারা এমন অভিমত ব্যক্ত করেন।

ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) এবং কনফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান ইন্ড্রাস্ট্রিজ (সিআইআই) যৌথভাবে এ সম্মেলনের আয়োজন করে।

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, ভারত শুধু আমাদের প্রতিবেশী নয়, ভালো বন্ধুও বটে। ভারত বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার। তবে বাণিজ্য ভারসাম্য এখনো ভারতের অনুকূলে।

বাংলাদেশি রফতানি পণ্যের ওপর আরোপিত অ্যান্টি ডাম্পিং শুল্কের কথা উল্লেখ করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, এসব পদক্ষেপের কারণে আমাদের রফতানি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তিনি তা পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানান।

কৃষিমন্ত্রী মোহাম্মদ আবদুর রাজ্জাক বলেন, ভারত বীজ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করলে বাংলাদেশ স্বাগত জানাবে। আমরা কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণে আরও সহযোগিতা দেখতে চাই। ভারতীয় কোম্পানিগুলো বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অঞ্চলে ম্যানুফ্যাকচারিং প্ল্যান্ট স্থাপন করতে পারে।

ভারতের কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি, রেলওয়েস অ্যান্ড কনজ্যুমার অ্যাফেয়ার্স, ফুড অ্যান্ড পাবলিক ডিস্ট্রিবিশন বিষয়ক মন্ত্রী পীযূষ গয়াল বলেন, বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার। এ অংশীদারিত্ব অন্যদের জন্য রোল মডেল। আমি মনে করি, দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক জোরদারে কৃষির গেম চেঞ্জিং সম্ভাবনা রয়েছে।

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতের মানবিক সাহায্যের কথা স্মরণ করে এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম বলেন,  পৃথিবীতে এমন দুটি দেশ আর নেই, যারা আমাদের মতো ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, নৃতাত্ত্বিক বন্ধনে আবদ্ধ। বাংলাদেশের বেসরকারি খাত প্রতিবছর ভারত থেকে কয়েক শত কোটি ডলার পণ্য আনে, যা আরো বৃদ্ধির ভালো সম্ভাবনা রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ভারসাম্য আনতে আমরা একসঙ্গে কাজ করতে চাই।

বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী বলেন, কৃষি রাজনৈতিক, সামাজিক এবং অর্থনৈতিক বিবেচনায় উভয় দেশের জন্যই একটি গুরুত্বপূর্ণ খাত।

সিআইআইয়ের প্রেসিডেন্ট ডেসিগনেট টি ভি নরেন্দ্রন বলেন, রফতানি বাড়াতে দুদেশই যৌথভাবে প্রাচ্যের দিকে নজর দিতে পারে।

পবন গোয়েনকা বলেন, মাহিন্দ্রা অ্যান্ড মাহিন্দ্রার জন্য বাংলাদেশ তিন শীর্ষ বাজারের একটি। আমরা এই বাজারকে এক নম্বর স্থানে উন্নীত করতে চাই।

সম্মেলনে দুটি আলাদা সেশনের আলোচনায় দুই দেশের কৃষিপণ্য উৎপাদনকারী, কৃষি যন্ত্রপাতি প্রস্তুতকারী ও খাদ্যপ্রক্রিজাতকরণ খাতের প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

আরও বক্তব্য দেন, সিআইআইয়ের প্রেসিডেন্ট ডেসিগনেট এবং টাটা স্টিল লিমিটেডের সিইও ও এমডি টি ভি নরেন্দ্রন, সিআইআইয়ের ডিরেক্টর জেনারেল চন্দ্রজিৎ ব্যানার্জি, সিআইআইয়ের ন্যাশনাল মিশন অন আত্মনির্ভর ভারতের চেয়ারম্যান ও মাহিন্দ্রা অ্যান্ড মাহিন্দ্রার এমডি ও সিইও ড. পবন গোয়েনকা। সমাপনী বক্তব্য দেন এফবিসিসিআই পরিচালক সুজীব রঞ্জন দাশ।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০২০
এসই/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।