ঢাকা: চলতি সপ্তাহে শীতকালীন সবজির বাজার অপরিবর্তিত থাকলেও একদিনের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে। তবে ক্রেতারা বলছেন সুযোগ পেলেই নানা অজুহাতে বিক্রেতারা নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছেন।
শনিবার (০২ জানুয়ারি) রাজধানীর তালতলা, কাজীপাড়া ও শেওড়াপাড়া বাজারঘুরে ক্রেতা এবং বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে এমন তথ্য।
এসব বাজার ঘুরে দেখা গেছে একদিনের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে ১৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। শুক্রবার (১ জানুয়ারি) এসব বাজারে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছে কেজিপ্রতি ১৩০ টাকা দরে। বাজারগুলোতে শীলকালীন সবজির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
বিক্রেতারা বলছেন পাইকারি বাজারে দাম বেড়ে যাওয়ায় খুচরা বাজারেও ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে।
এ ব্যাপারে শেওড়াপাড়া বাজারে মুরগি বিক্রেতা সোহেল বাংলানিউজকে বলেন, গতকালকের চেয়ে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে। পাইকারি বাজারে দাম বাড়ায় আমরাও দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছি। দাম কমে গেলে আমরাও দাম কমিয়ে দেবো। তবে ক্রেতারা বলছেন, কারণ ছাড়াই নানা অজুহাতে বিক্রেতারা পণ্যে দাম বাড়িয়ে দেয়। খুচরা বাজারে নিয়ন্ত্রণ না থাকায় এমনটি হচ্ছে বলে মনে করেন তারা।
এ ব্যাপার তালতলা বাজারে মো. ইসমাইল হোসেন নামে একজন ক্রেতা বাংলানিউজকে বলেন, গতকালও মুরগি কিনেছি ১৩০ টাকা দরে আজ ১৪০ টাকায় কিনলাম। বিক্রেতারা নানা অজুহাতে দাম বাড়াচ্ছে। খুচরা বাজারে সরকারের মনিটরিং জরুরি বলে তিনি মনে করেন।
শনিবার এসব বাজারে শীতকালীন সবজির বাজার অপরিবর্তিত রয়েছে বাঁধাকপি ২০ থেকে ২৫ টাকা, ফুলকপি ২৫ থেকে ৩০ টাকা, প্রতিকেজি মুলা বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকা, শালগম বিক্রি হচ্ছে ১৫ টাকা, গাজর ৩০ থেকে ৪০ টাকা, শিম ৪০ থেকে ৫০ টাকা, বেগুন ৩০ থেকে ৪০ টাকা, করলার ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ থেকে ৬০ টাকা, পাকা টমেটো ৭০ থেকে ৮০ টাকা, কাঁচা টমেটো বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকা, বরবটি ৫০ থেকে ৬০ টাকায় এবং প্রতিটি লাউ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা।
কলা বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকায়, জালি কুমড়া ৩০ টাকা, ছোট মিষ্টিকুমড়া প্রতি পিস ২০ থেকে ৩০ টাকার মধ্যে। নতুন আলু বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা, নতুন দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে, তুরস্কের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা দরে , কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে প্রতিকেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৬২ থেকে ৬৫ টাকায়। প্রতি কেজি আটাশ চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৪ থেকে ৫৫ টাকায়, পায়জাম ৫৪ থেকে ৫৫ টাকায়, মিনিকেট প্রকারভেদে ৬০ থেকে ৬৫ টাকায়, নাজিরশাইল ৬৫ টাকায়, পোলাওয়ের চাল ৯০ থেকে ১০০ টাকায়, খোলা ভোজ্যতেল লিটার বিক্রি হচ্ছে ১২৫ টাকায়।
এসব বাজারে এক ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়, হাঁসের ডিম ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায়, দেশি মুরগির ডিমের হালি ৬০ টাকায়, ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা। সোনালি বা কক ১৯০ ও ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়।
বাজারে প্রতিকেজি খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৮০ থেকে ৮০০ টাকায়, বকরির মাংস ৭২০ থেকে ৭৫০ টাকায়, গরুর মাংস ৫৫০ টাকায়, মহিষ ৫৮০ থেকে ৬০০ টাকায়। এসব বাজারে এক কেজি শিং মাছ (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকায়, প্রতিকেজি রুই মাছের দাম বেড়ে (আকারভেদে) ২০০ থেকে ৩৫০ টাকায়, মাগুর মাছ ১২০ থেকে ৬০০ টাকায়, মৃগেল ১৭০ থেকে ২৫০ টাকায়, পাঙ্গাস ১১০ থেকে ২০০ টাকায়, ইলিশ প্রতিকেজি (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ১,২০০ টাকা, চিংড়ি প্রতিকেজি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকায়, বোয়ালমাছ প্রতিকেজি ৬০০ থেকে ৭০০ টাকায়, কাতল ১৭০ থেকে ২৮০ টাকায়, ফোলি মাছ ৩০০ থেকে ৫০০ টাকায়, পোয়া মাছ ২৫০ থেকে ৩২০ টাকায়, পাবদা মাছ ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকায়, টেংরা মাছ ১৮০ থেকে ২০০ টাকায়, টাটকিনি মাছ ৩০০ টাকায়, তেলাপিয়া ১২০ টাকায়, সিলভার কার্প ১০০ থেকে ১৪০ টাকায়, কৈ মাছ ১৪০ থেকে ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০৫২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০২, ২০২১
এসএমএকে/এএটি