ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে রূপালী ব্যাংকে বঙ্গবন্ধু কর্নার উদ্বোধন

বিজনেস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০২১
স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে রূপালী ব্যাংকে বঙ্গবন্ধু কর্নার উদ্বোধন

ঢাকা: রূপালী ব্যাংকে যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৯তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালন হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসকে স্মরণীয় করে রাখতে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে রূপালী ব্যাংকে বঙ্গবন্ধু কর্ণার উদ্বোধন করা হয়েছে।

 

রোববার (১০ জানুয়ারি) রাজধানীর দিলকুশায় ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধু কর্নার উদ্বোধন করেন ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও সংসদ সদস্য (এমপি) মনজুর হোসেন এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মো. ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ।

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের মূল ফটকে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আরও ব্যাংকের ডিএমডি মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, খন্দকার আতাউর রহমান ও মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, জিএম অশোক কুমার সিংহ রায়, মো. শফিকুল ইসলাম, মজিবর রহমানসহ ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও ব্যাংকের সিবিএ নেতারা।

বঙ্গবন্ধু কর্ণার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ বলেন, আমাদের বাঙালি জাতির জীবনের প্রতিটি ক্ষণে যার অবদান জড়িয়ে আছে সেই হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের দিনে আমরা বঙ্গবন্ধু কর্নার উদ্বোধন করতে পেরে গর্বিত।

বাঙালি জাতিকে ঘুমন্ত সিংহের সঙ্গে তুলনা করে ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ বলেন, বঙ্গবন্ধু ৩০ বছর ধরে ঘুমিয়ে পড়া বাঙালি জাতির কানে কানে বলেছেন, তোমরাই শ্রেষ্ঠ, তোমরাই বীরের জাতি। বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে ঘুমন্ত বাঙালি জাতি জেগে উঠেছিল। বঙ্গবন্ধু বুঝেছিলেন, শুধু সামরিক বাহিনী দিয়ে পাকিস্তানের মতো শক্তিশালী সামরিক শক্তির বিরুদ্ধে বিজয় অর্জন সম্ভব নয়। তাই তিনি বাংলার আপামর জনসাধারণকে সম্পৃক্ত করেছিলেন মুক্তি সংগ্রামে। পৃথিবীর কোথাও দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধ ছাড়া কোনো দেশ স্বাধীন হয়নি। কিন্তু মাত্র নয় মাসে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। কারণ, বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধকে জনযুদ্ধে রূপ দিয়েছিলেন। আমরা আজ সত্যিই মাথা উঁচু করে বলতে পারি, আমরা শ্রেষ্ঠ জাতি।

তিনি বলেন, মুজিববর্ষ উপলক্ষে আমরা রূপালী ব্যাংককে ঢেলে সাজিয়েছি। মুজিববর্ষ থেকে আমরা রূপালী ব্যাংকে নতুন স্লোগান যুক্ত করেছি, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণে নিবেদিত একটি লাল-সবুজ ব্যাংক। আমরা মুজিববর্ষে শূন্য সুদে কৃষি ঋণ বিতরণ করেছি। আমাদের স্লোগান “মুজিব বর্ষে শুভ দিন শূন্য সুদে কৃষি ঋণ। ” আমরা মানুষের দোরগোড়ায় ব্যাংকের সেবা নিয়ে যাবো। মুজিববর্ষে এজন্য আমাদের স্লোগান “রূপালী ব্যাংক মেলুক পাখা শতবর্ষে শত শাখা । ” আমরা ঘূর্ণিঝড় আম্পানে ক্ষতিগ্রস্ত আম চাষিদের মধ্যে অর্থায়ন করেছি। বান্দরবানে আদা চাষের জন্য মুজিববর্ষে আমরা ঋণ দেবো। আমাদের উদ্যোগ সফল হলে আগামীতে আর দেশে আদা আমদানি করতে হবে না।

বাংলাদেশ সময়: ২১১২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০২১
আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।