ঢাকা: অভ্যন্তরীণ বাজারে কাঁচাপাট সরবরাহ নিশ্চিত করা, পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানির ধারা বেগবান করার লক্ষ্যে কাঁচাপাটের ডিলার/আড়তদাররা এক হাজার মণের বেশি কাঁচাপাট এক মাসের বেশি সময় ধরে মজুদ রাখতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পাট অধিদপ্তরকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (২০ জানুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে বাংলাদেশ জুট মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিজেএমএ) ও বাংলাদেশ জুট স্পিনার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতাদের সঙ্গে আলোচনাকালে এ নির্দেশনা দেন পাটমন্ত্রী।
এ সময় বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সাবিনা ইয়াসমিন, বাংলাদেশ জুট মিলস অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুর রহমান পাটোয়ারী, বাংলাদেশ জুট স্পিনার্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান মো. জাহিদ মিয়াসহ অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
পাটমন্ত্রী বলেন, সম্প্রতি দেশে কাঁচাপাটের সংকট তৈরির কারণে পাটকলসমূহ উৎপাদন ঝুঁকিতে পড়েছে। এ অবস্থায় পাট ও পাটজাত পণ্যের রপ্তানি আয়ের ধারা অব্যাহত রাখার জন্য কাঁচাপাটের সরবরাহ নিশ্চিত করতে সরকার কার্যকর ব্যবস্থা নেবে। এজন্য লাইসেন্স বিহীন অসাধু ব্যবসায়ীদের কাঁচাপাট ক্রয়-বিক্রয় ও মজুদ হতে বিরত রাখা; ভেজা পাট ক্রয়-বিক্রয় রোধ করা; বাজারে কাঁচাপাটের সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পাট অধিদপ্তরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, চলতি পাট মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী, পাট চাষ নিশ্চিতকরণে বীজ সরবরাহ সঠিক রাখতে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। মানসম্মত পাটবীজ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে পাঁচবছরের জন্য কৃষি মন্ত্রণালয় এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় যৌথ উদ্যোগে একটি রোডম্যাপ তৈরি করেছে। সবকিছু ঠিক থাকলে ২০২৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত পাটবীজ উৎপাদনে স্বনির্ভর হবে। প্রয়োজনীয় পাটবীজ সংগ্রহে আমদানি নির্ভরতা আর থাকবে না। এ পাট মৌসুম থেকে রোডম্যাপ বাস্তবায়ন শুরু হবে। ধাপে ধাপে তা আগামী পাঁচবছরে শতভাগ বাস্তবায়ন করা হবে।
চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম চার মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি করে বাংলাদেশ ৬৬৮ দশমিক ১১ কোটি ডলার আয় করেছে। এই অংক গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৩০ দশমিক ৫৬ শতাংশ বেশি। আর তা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় ১৯ দশমিক ২৯ শতাংশ বেশি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০২১
জিসিজি/এমজেএফ