ঢাকা: বৈশ্বিক খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে উন্নত দেশগুলোকে স্বল্পোন্নত ও উন্নয়নশীল দেশে বিনিয়োগ ও সহযোগিতা বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক।
শুক্রবার (২২ জানুয়ারি) বিকেলে জার্মান ফেডারেল মিনিস্ট্রি অব ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার (বিএমইএল) আয়োজিত ‘১৩তম বার্লিন কৃষিমন্ত্রীদের সম্মেলনে’ তিনি এ আহ্বান জানান।
করোনা পরিস্থিতির কারণে এবার ভার্চ্যুুয়ালি কনফারেন্সটি অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিশ্বের ৮০টিরও বেশি দেশের কৃষিমন্ত্রী ও ১৪টি আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধি এ সম্মেলনে অংশ নেন। কৃষিমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলে ছিলেন কৃষিসচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম ও অতিরিক্ত সচিব মো. রুহুল আমিন তালুকদার।
করোনা মোকাবিলায় কৃষিক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগ তুলে ধরে কৃষিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকারের সময়োপযোগী পদক্ষেপের ফলে বিগত এক বছরে বাংলাদেশে খাদ্য উৎপাদনের ধারা অব্যাহত রয়েছে। এখন পর্যন্ত সরকার দেশের মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সফল হয়েছে। কিন্তু বৈশ্বিক খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হলে বিশ্বের সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। সেজন্য, উন্নত দেশগুলোকে উন্নয়নশীল ও স্বল্পোন্নত দেশের পাশে দাঁড়াতে হবে। উন্নয়নশীল দেশের কৃষির উন্নয়ন, এগ্রো-প্রসেসিং, কৃষিযান্ত্রিকীকরণ ও ফুড ভ্যালু চেইন শক্তিশালী করতে উন্নত দেশগুলোকে বিনিয়োগ ও সহযোগিতা বাড়িয়ে এগিয়ে আসতে হবে।
খাদ্য সঙ্কটের ব্যাপারে ‘আগাম কার্যকর সতর্কব্যবস্থা’ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সম্ভাব্য খাদ্যসঙ্কটের ব্যাপারে ‘আন্তর্জাতিক কার্যকর সতর্কব্যবস্থা’ গড়ে তোলা প্রয়োজন। যাতে করে আগেভাগেই প্রস্তুতি নেওয়া যায়। এছাড়া, ফুড সিস্টেম তথা খাদ্য উৎপাদন থেকে শুরু করে বাজারজাত ও মজুতে মনিটরিং ব্যবস্থাকে জোরদার করতেও উন্নত দেশের আরও সহযোগিতা দরকার।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে উন্নয়নশীল দেশের কৃষিতে ব্যাপক বিরূপ প্রভাব পড়ছে। সেজন্য, জলবায়ু অভিঘাত সহনশীল খাদ্য ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। এক্ষেত্রেও উন্নত দেশগুলোকে উন্নয়নশীল দেশে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে।
'কৃষিমন্ত্রীদের কনফারেন্সে’ ৩টি বিষয়কে এবারের ‘যৌথ ঘোষণায়/ইশতেহারে’ গুরুত্ব দিয়ে একসঙ্গে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়। প্রথমটি হচ্ছে-কোভিড-১৯ মোকাবিলা করে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। দ্বিতীয়টি হলো-ভবিষ্যতে মহামারি থেকে দূরে থাকতে ‘ওয়ান হেলথ এপ্রোচ’ গ্রহণ। শেষটি হলো জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় টেকসই উৎপাদন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে একসঙ্গে কাজ করার ঘোষণা।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০২১
জিসিজি/ওএইচ/