ঢাকা: প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া ক্যাটাগরিতে ট্যাক্স কার্ড পাচ্ছে ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপ। মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি) জাতীয় রাজস্ব বোর্ড সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, সেরা করদাতা হিসেবে ১৪১টি ট্যাক্স কার্ড দেবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এর মধ্যে ব্যক্তি ৭৬ জন, কোম্পানি ৫৩ ও অন্যান্য ১২। এই (তিন) ক্যাটাগরিতে ১৪১টি ট্যাক্স কার্ড প্রদানের লক্ষ্যে ব্যক্তি, কোম্পানি ও অন্যান্য পর্যায়ের যোগ্য করদাতার নাম প্রকাশ করা হয়েছে। প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া ক্যাটাগরিতে ট্যাক্স কার্ড পাচ্ছে ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া।
গত ২০ জানুয়ারি এই সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশ করেছে এনবিআর।
জাতীয় ট্যাক্স কার্ড নীতিমালা, ২০১০ (সংশোধিত) অনুযায়ী ২০১৯-২০ কর বছরে ব্যক্তি, কোম্পানি এবং অন্যান্য ১২ এই (তিন) ক্যাটাগরিতে ১৪১টি ট্যাক্স কার্ড প্রদানের লক্ষে ব্যক্তি, কোম্পানি ও অন্যান্য পর্যায়ের যোগ্য করদাতার নাম প্রকাশ করা হয়েছে।
১৪১টি ট্যাক্স কার্ড প্রদানের ব্যক্তি, কোম্পানি ও অন্যান্য পর্যায়ের যোগ্য করদাতার নামের মধ্যে রয়েছে:
জ্যেষ্ঠ নাগরিক: বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী (বৃহৎ করদাতা ইউনিট) গোলাম দস্তগীর গাজী, লতিফুর রহমান, মতিউর রহমান, আলী হোসাইন আকবর আলী ও ডাঃ মোস্তাফিজুর রহমান।
যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা: ঢাকার কর অঞ্চল-১৫ মো. নাসির উদ্দীন মৃধা, কর অঞ্চল-৯ এর লে. জেনারেল (অব.) আবু সালেহ মো. নাসিম, কেন্দ্রীয় জরিপ অঞ্চল মো জয়নাল আবেদীন, কুমিল্লা কর অঞ্চলের এর প্রফেসর ইন্দুভূষণ ভৌমিক, কর অঞ্চল ১৪ এর আব্দুল মান্নান।
প্রতিবন্ধী: চট্টগ্রাম কর অঞ্চল-৩ এর সুকর্ণ ঘোষ, কর অঞ্চল-১ ঢাকার আকরাম মাহমুদ ও কর অঞ্চল সিলেটের ডা: মামুনুর রশিদ।
নারী: ঢাকার কর অঞ্চল-৩ এর লায়লা হোসেন, বৃহৎ করদাতা ইউনিটের শাহনাজ রহমান, কর অঞ্চল-৩ ঢাকার আনোয়ারা হোসেন, কর অঞ্চল-৯ ঢাকার পারভীন হাসান ও কর অঞ্চল-১৩ ঢাকার পপি রানী ভৌমিক।
তরুণ: বৃহৎ করদাতা ইউনিটের নাফিস সিকদার, ঢাকার কর অঞ্চল–৪ এর গাজী গোলাম মর্তুজা, কর অঞ্চল–৫ এর নাফিসা কামাল, ঢাকা কর অঞ্চল-৮ এর আহমেদ ইমতিয়াজ হাসান, কর অঞ্চল–১২ ঢাকার ইঞ্জিনিয়ার মেহেদী হাসান।
ব্যবসায়ী: ঢাকার কর অঞ্চল–২ এর হাজী মো. কাউছ মিয়া, বৃহৎ করদাতা ইউনিটের সৈয়দ আবুল হোসেন, বৃহৎ করদাতা ইউনিটের নজরুল ইসলাম মজুমদার, ঢাকার কর অঞ্চল-১০ এর মো নুরুজ্জামান খান, চট্টগ্রামের কর অঞ্চল-৪ এর মোহাম্মদ কামাল।
বেতনভোগী: ঢাকা কর অঞ্চল-৮ এর মোহাম্মদ ইউসুফ, খাজা তাজমহল, এম এ হায়দার হোসেন, ঢাকার কর অঞ্চল-৩ এর রুবাইয়াত ফারজানা হোসেন ও হোসনে আরা হোসেন।
চিকিৎসক: পাঁচ করদাতাই কর অঞ্চল–১০ এর ডা: জাহাঙ্গীর কবির, এ কে এম ফজলুল হক, প্রাণ গোপাল দত্ত, আব্দুল মোবিন খান ও নার্গিস ফাতেমা।
সাংবাদিক: দ্য ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহ্ফুজ আনাম, চট্টগ্রামের দৈনিক আজাদী সম্পাদক মোহাম্মদ আবদুল মালেক, প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান, চ্যানেল আইয়ের পরিচালক (বার্তা) শাইখ সিরাজ ও সিনিয়র সাংবাদিক মনজুরুল আহসান বুলবুল।
আইনজীবী: এ শ্রেণির সবাই কর অঞ্চল ৮-এর। তালিকায় আছেন দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের শেখ ফজলে নূর তাপস, তৌফিকা আফতাব, মো. এনামুল কবির ইমন, আহসানুল করিম ও নিহাদ কবির।
প্রকৌশলী: ঢাকার রেজাউল করিম, মোখলেছুর রহমান ও মিরাজ উদ্দিন হায়দার।
স্থপতি: ঢাকার মো. ফয়েজ উল্লাহ, গোলাম আজম সিজার ও হাসান শামস উদ্দিন।
হিসাবরক্ষক (অ্যাকাউন্ট্যান্ট): ঢাকার মাসুক আহমেদ, মো. মোক্তার হোসেন ও মোহাম্মদ ফারুক।
নতুন করদাতা: কর অঞ্চল সিলেটের শিউলি আক্তার নিপা, কর অঞ্চল-৬ ঢাকার মো. নাজমুল হোসেন, কর অঞ্চল-১৫ ঢাকার মো. রেজাউল করিম মুন্সি, কর অঞ্চল-১৩ ঢাকার আজমিরা খাতুন, কর অঞ্চল সিলেটের মৌসুমী কর, কর অঞ্চল রংপুরের আবুল কাশেম ও কর অঞ্চল সিলেটের আরিমা খানম তরফদার।
খেলোয়াড়: এ শ্রেণিতে আছেন তিন ক্রিকেটার। কর অঞ্চল–১ এর তামিম ইকবাল, কর অঞ্চল–৭ এর সাকিব আল হাসান ও কর অঞ্চল-১ এর মাশরাফি বিন মুর্তজা।
অভিনেতা-অভিনেত্রী: শাকিব খান রানা, বিদ্যা সিনহা মিম, রাইসুল ইসলাম আসাদ।
গায়ক-গায়িকা: তাহসান রহমান খান, মমতাজ বেগম ও শাহীন সামাদ।
অন্যান্য: কাজী ইকবাল হারুন, মো. সাইফুল ইসলাম ও আব্দুল মুকিত মজুমদার।
প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে ৫৩ কর কার্ড পেয়েছে যারা
ব্যাংক: স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক, দি হংকং এন্ড সাংহাই ব্যাংকিং করপোরেশন ও ন্যাশনাল ব্যাংক।
ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান: ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি, আইডিএলসি ফাইন্যান্স ও বাংলাদেশ ইনফ্রাস্ট্রাকচার ফাইন্যান্স ফান্ড ও উত্তরা ফাইন্যান্স লিমিটেড।
টেলিযোগাযোগ: গ্রামীণফোন।
প্রকৌশল: স্পেক্ট্রা ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড, বিএসআরএম স্টিলস ও এসিআই মটরস।
খাদ্য ও আনুষঙ্গিক: নেসলে বাংলাদেশ, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ ও স্কয়ার ফুড অ্যান্ড বেভারেজ।
জ্বালানি: তিতাস গ্যাস, মেঘনা পেট্রোলিয়াম ও পদ্মা অয়েল লিমিটেড।
পাটশিল্প: আকিজ জুট মিলস, আই আর খান জুট মিলস লিমিটেড ও আইয়ান জুট মিলস লিমিটেড।
স্পিনিং ও টেক্সটাইল: কোটস বাংলাদেশ, সানজানা ফেব্রিক্স, বাদশা টেক্সটাইলস, এপেক্স টেক্সটাইল, ফখরুদ্দীন টেক্সটাইল মিলস, নোমান টেরিটাওয়েল মিলস ও এনভয় টেক্সটাইল।
ওষুধ ও রসায়ন: ইউনিলিভার, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস, ইনসেপটা ফার্মাসিউটিক্যালস ও রেনাটা লিমিটেড।
প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া: মিডিয়াস্টার লিমিটেড, ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেড, ট্রান্সক্রাফট লিমিটেড ও মিডিয়া ওয়ার্ল্ড।
আবাসন: ইউ ডি সি কনস্ট্রাকশন লিমিটেড, নাভানা রিয়েল এস্টেট লিমিটেড ও রিজভি কনস্ট্রাকশন লিমিটেড।
তৈরি পোশাক: এসিআই টেক্সটাইল, ইয়ংওয়ান লিমিটেড, স্কয়ার ফ্যাশন, রিফাত গার্মেন্টস, ইউনিভার্সাল জিন্স লিমিটেড, জিএমএস কম্পোজিট নিটিং ইন্ডাস্ট্রিজ ও হা-মীম ডেনিম লিমিটেড।
চামড়াশিল্প: বাটা সু, এপেক্স ফুটওয়্যার ও লালমাই ফুটওয়্যার।
প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে কর কার্ড পেয়েছে শেখ আজিজ উদ্দিন লিমিটেড, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ কোম্পানি, আমেরিকান লাইফ ইন্স্যুরেন্স ও বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরী।
১২টি ট্যাক্স কার্ডের বিভাজন ফার্ম ক্যাটাগরি: মেসার্স এস এন করপোরেশন, মেসার্স সাহারা এন্টারপ্রাইজ, মেসার্স এ এস বি এস ও মেসার্স সালেহ আহমেদ।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষ: সিভিল এভিয়েশন অথরিটি অফ বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ।
ব্যক্তি সংঘ: বাংলাদেশ পুলিশ কল্যাণ ট্রাস্ট ও সেনা কল্যাণ সংস্থা হেড অফিস।
অন্যান্য ক্যাটাগরি: আশা, বুরো বাংলাদেশ, ওয়ালটন হাইটেক ও সেন্টাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেড।
বাংলাদেশ সময় ০১১৬, জানুয়ারি ২৭,২০২১
এসএমএকে/কেএআর