মাগুরা: কথায় আছে, মাঘের শীত বাঘের গায়ে। এ প্রবাদ যেন সত্যি হয়ে উঠেছে।
তবে, প্রচণ্ড ঠাণ্ডার মধ্যেও গরম কাপড়ের দোকানে তেমন ক্রেতা নেই। ফলে ব্যবসায়ীরা লোকশানের আশঙ্কা করছেন।
মাগুরা শীতবস্ত্র হাটের ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, ‘যে সময় শীত পড়ার কথা ছিল, তখন শীত পড়েনি। এ কারণে শীতের গরম কাপড় তেমন বিক্রি হয়নি। ব্যবসার অধিকাংশ টাকা গরম কাপড়ে গেছে। বিক্রি না হওয়ায় লোকসানের মুখে পড়তে হচ্ছে। ’
মাগুরা লন্ডন স্টাইল দোকানের ব্যবসায়ী রাসেল হোসেন বলেন, ‘১০ লাখ টাকার শীতের কাপড় দোকানে এনেছি। দুই লাখ টাকাও বিক্রি করতে পারিনি। দিনের অধিকাংশ সময় ঘন কুয়াশা ও ঠাণ্ডা বাতাস থাকে। মানুষ বাড়ি থেকে খুব একটা বের হচ্ছেন না। এ কারণে আমাদের গরম কাপড়ও বিক্রি হচ্ছে না। শীতের কাপড় বিক্রি করতে না পারায় গরমের কাপড়ও ওঠাতে পারছি না। মনে হচ্ছে, এ বছর চরম লোকসানের হবে। ’
ব্যবসায়ী হাবিবুর রহমান বলেন, ‘সকাল ৯টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত দোকান খোলা রাখছি। ক্রেতা নেই বললেই চলে। দিনে এক-দুই হাজার টাকার কাপড় বিক্রি হয়। এ দিয়ে ঘরভাড়া, কর্মচারীর বেতন, বিদ্যুৎবিল দিতে পারছি না। ’
মাগুরা জেলা দুর্যোগ ও ত্রাণ কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান বলেন, হঠাৎ করে শীত পড়েছে, প্রচণ্ড ঠাণ্ডা বাতাস বইছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ এ বছর আমার ১৭ হাজার ১শ’ কম্বল বিতরণসহ জেলার চার উপজেলায় ছয় লাখ টাকার কম্বল কেনার জন্য উপজেলা প্রশাসনসহ জনপ্রতিনিধিদের দিয়েছি। তাছাড়া, বিভিন্ন এনজিও, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার মাধ্যমে শীতার্ত মানুষের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ করেছি। কয়েকদিন আগেও তেমন শীত না থাকায় ব্যবসায়ীরা গরম কাপড় খুব একটা বিক্রি করতে পারেননি। আশা করছি, সামনে যে ক’দিন শীত রয়েছে, সে সময় বিক্রি বাড়বে। ব্যবসারাও ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবে। ’
বাংলাদেশ সময়: ০৯৫৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০২১
এফএম