বেনাপোল (যশোর): দেশের বৃহত্তর বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) ভারত থেকে ১৭ লাখ ৫ হাজার ১১৩ মেট্রিক টন পণ্য আমদানি হয়েছে। এর বিপরীতে ভারতে রপ্তানি হয়েছে ১ লাখ ৭৬ হাজার ২৯৫ মেট্রিক টন বাংলাদেশি পণ্য।
শুক্রবার (২৯ জানুয়ারি) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বেনাপোল বন্দরের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবির তরফদার।
জানা জায়, প্রতিবছর বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকার পণ্য আমদানি ও ৮ হাজার কোটি টাকার পণ্য রপ্তানি হয়। আমদানি পণ্য থেকে সরকারের প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আয় হয়ে থাকে। তবে চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রা ৬ হাজার ২৪ কোটি ৬২ লাখ টাকা।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মুজিবর রহমান জানান, বেনাপোল বন্দর দিয়ে দেশের ৭০ শতাংশ পণ্য আমদানি-রপ্তানি হয়ে থাকে। তবে এ বন্দরের অবকাঠামো উন্নয়ন না হওয়ায় খোলা আকাশের নিচে পণ্য রাখতে হচ্ছে। ফলে রোদ-বৃষ্টিতে পণ্যের গুণাগুণ নষ্ট হচ্ছে এবং চুরির আতঙ্কে থাকতে হয় ব্যবসায়ীদের। এতে করে ব্যবসায়ীরা যেমন এপথে বাণিজ্যে আগ্রহ হারাচ্ছেন তেমনি এ বন্দরের রাজস্বের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হচ্ছে না।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন জানান, বেনাপোল বন্দরে রেলপথে ও স্থলপথে পণ্য আমদানি হয়ে থাকে। কিন্তু প্রয়োজনীয় অবকাঠামো উন্নয়ন না হওয়ায় আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য ব্যাহত হচ্ছে। তবে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো উন্নয়ন হলে বছরে এ বন্দর থেকে ১০ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায় সম্ভব হবে বলে তিনি জানান।
বেনাপোল বন্দরের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবির তরফদার জানান, বেনাপোল বন্দর সম্প্রসারণে নতুন জায়গা অধিগ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়াও কয়েকটি আধুনিক পণ্যাগার নির্মাণ করা হয়েছে এবং রেলের জন্য বন্দরে দুটি গুডস ইয়ার্ড তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। খুব দ্রুত বন্দরের সব সমস্যা সমাধান হবে বলে জানান তিনি।
বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি হওয়া পণ্যের মধ্যে রয়েছে- শিল্প কারখানায় ব্যবহৃত কাঁচামাল, তৈরি পোশাক, কেমিক্যাল, মেশিনারি যন্ত্রাংশ, সুতা, মাছ ও বিভিন্ন ধরনের খাদ্যদ্রব। আর রপ্তানি পণ্যের মধ্যে রয়েছে, পাট ও পাটজাত পণ্য, মাছ, তৈরি পোশাক ও বসুন্ধরা টিসু।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০২ ঘণ্টা (২৯ জানুয়ারি) ২০২০
আরএ