ঢাকা: সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধিত হয়েছে, যার ফলে যুক্তরাজ্যের কোম্পানিগুলো বাংলাদেশে আরও অধিক হারে বিনিয়োগে আগ্রহী বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন।
একই সঙ্গে বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণে বাংলাদেশের ব্যবসা সহায়ক পরিবেশ আরও উন্নয়ন করা প্রয়োজন বলে মত প্রকাশ করেন তিনি।
মঙ্গলবার (০৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঢাকা চেম্বারের কার্যালয়ে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি রিজওয়ান রহমানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এসব কথা বলেন হাইকমিশনার।
এ সময় ডিসিসিআইর ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি এন কে মবিন, সহ-সভাপতি মনোয়ার হোসেন এবং যুক্তরাজ্য হাইকমিশনের বেসরকারি খাতের উন্নয়ন বিষয়ক কর্মকর্তা মহেশ মিশ্র উপস্থিত ছিলেন।
সাক্ষাৎকালে হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন বলেন, বাংলাদেশের স্বাস্থ্য, উচ্চ শিক্ষা, আর্থিক খাত এবং আর্থিক প্রযুক্তি (ফিনটেক) প্রভৃতি খাতসমূহ বৈদেশিক বিনিয়োগের জন্য অত্যন্ত সম্ভাবনাময়।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের তরুণ জনগোষ্ঠীকে বৈশ্বিক প্রতিযোগিতার বাজারে দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত করতে মানসম্মত শিক্ষা কার্যক্রম নিশ্চিতকরণের কোনো বিকল্প নেই। এ দেশে আন্তর্জাতিক মানসম্মত শিক্ষা কার্যক্রম চালু করতে যুক্তরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অত্যন্ত আগ্রহী, তবে তা নিশ্চিত করতে বিদ্যমান নীতিমালার কার্যকর ব্যবহারের আহ্বান জানান হাইকমিশনার।
তিনি বলেন, যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের বাণিজ্য সম্প্রসারণে আগামী সপ্তাহ থেকে ‘যুক্তরাজ্য-বাংলাদেশ বাণিজ্য সংলাপ’ আয়োজনের সম্ভাবনা রয়েছে, যেখানে দুই দেশের সরকারি ও বেসরকারি খাতের প্রতিনিধিরা অংশ নেবেন।
ডিসিসিআই সভাপতি রিজওয়ান রাহমান বলেন, বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের তৃতীয় বৃহত্তম বাজার হলো যুক্তরাজ্য, যেখানে ২০১৯-২০ অর্থবছরে বাংলাদেশ প্রায় ৩ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য রপ্তানি করে, যার বিপরীতে ৪১১ দশমিক ০৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য আমদানি করে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে স্থানীয়ভাবে তৈরি সফটওয়্যার রপ্তানির দ্বিতীয় বৃহত্তম গন্তব্য হলো যুক্তরাজ্য এবং গত অর্থবছরের রপ্তানিকৃত মোট সফটওয়্যারের প্রায় ১৩ ভাগই যুক্তরাজ্যের বাজারে রপ্তানি করা হয়েছে।
ঢাকা চেম্বারের সভাপতি বাংলাদেশ থেকে আরও বেশি হারে সফটওয়্যার ও তথ্য-প্রযুক্তি বিষয়ক সেবা আমদানির পাশাপাশি এ খাতে বিনিয়োগে এগিয়ে আসার জন্য যুক্তরাজ্যের উদ্যোক্তাদের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতের পণ্য ছাড়াও শাক-সবজি, ফলমূল, বাইসাইকেল, ব্যাটারি, পাটজাত পণ্য এবং পাদুকা ও চামড়াজাত পণ্য প্রভৃতি পণ্য আমদানির প্রস্তাব করেন।
ব্রেক্সিট পরবর্তী সময়ে যুক্তরাজ্যের বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের শুল্কমুক্ত সুবিধা অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য যুক্তরাজ্য সরকারকে ধন্যবাদ জানান ডিসিসিআই সভাপতি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০২১
জিসিজি/এমজেএফ