ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

‘ব্ল্যাকলিস্টেড’ কোম্পানি থেকে ৬২৩ কোটি টাকার এলএনজি কিনবে সরকার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২১
‘ব্ল্যাকলিস্টেড’ কোম্পানি থেকে ৬২৩ কোটি টাকার এলএনজি কিনবে সরকার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল/ ফাইল ছবি

ঢাকা: কালো তালিকাভুক্ত সিঙ্গাপুরের কোম্পানি ভিটল এশিয়া পিটিই লিমিটেড থেকে ৬২৩ কোটি ৬৪ লাখ ১৭ হাজার ৪৬৭ টাকার ৬৭ লাখ ২০ হাজার এমএমবিটিইউ এলএনজি কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। এদিকে কালো তালিকাভুক্ত কোম্পানির কাছ থেকে কেন এলএনজি কেনা হবে, সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে অনলাইনে অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক ও সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আজ অর্থনৈতিক সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার কমিটিতে দুটি প্রস্তাব ও ক্রয় সংক্রান্ত কমিটিতে পাঁচটি প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়েছে। ক্রয় সংক্রান্ত অনুমোদিত পাঁচটি প্রস্তাবের অর্থের পরিমাণ ১ হাজার ৯১ কোটি ৫০ লাখ ৪০ হাজার ৫১২ টাকা। মোট অর্থায়নের সম্পূর্ণই জিওবি থেকে যোগান দেওয়া হবে। ’

তিনি বলেন, ‘বৈঠকে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের অধীন পেট্রোবাংলার মাধ্যমে ষষ্ঠ এলএনজি কার্গোর আওতায় সিঙ্গাপুরের ভিটল এশিয়া পিটিই লি. এর কাছে থেকে ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ এলএনজি ৩১০ কোটি ৯৮ লাখ ৯৩ হাজার ২৪৩ টাকায় আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়। একই সঙ্গে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের অধীন পেট্রোবাংলা কর্তৃক সপ্তম এলএনজি কার্গোর আওতায় সিঙ্গাপুরের ভিটল এশিয়া পিটিই লি. এর কাছ থেকে ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ এলএনজি ৩১২ কোটি ৬৫ লাখ ২৪ হাজার ২২৪ টাকায় আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়। ’

ভিটল এশিয়া বিভিন্ন দেশে ব্ল্যাকলিস্টেড, তাদের থেকে এনএলজি কেনা হচ্ছে কেন, এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশের ব্ল্যাকলিস্টেড না। বিভিন্ন দেশে তারা ব্যবসা করে। আমাদের দেশে তো তারা ব্যবসাই করেনি এখনও। আমরা প্রকিউরমেন্ট করি আমাদের স্বার্থে। তারা সেখানে ব্ল্যাকলিস্টেড হলে আমাদের তো ক্ষতি হচ্ছে না। ’

তিনি বলেন, ‘আমরা যদি না পাই তাহলে তাদের যে সিকিউরিটি আছে সেটা প্রফিট হবে। সরবরাহ যখন করবে সেটার পরিপ্রেক্ষিতে তারা টাকা পাবে। ফলে আমাদের ক্ষতি হচ্ছে না। আমার জানা নেই তারা ব্ল্যাকলিস্টেড। তবে ব্ল্যাকলিস্টেড হলে তাদের কাছ থেকে নেবো কেন? আমরা বিষয়টি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে বিষয়টি অবহিত করবো, তারা দেখবেন। আগামী সভায় এ বিষয়টি অবহিত করার জন্য চেষ্টা করবো। ’

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘অনেক সময় লং টার্মে পাওয়া যায় না, সেজন্য স্পট থেকে আমরা কেনার চেষ্টা করছি। স্পট থেকে কেনা আমাদের নতুন, দীর্ঘদিন থেকে আমরা চেষ্টা পারচেজ করিনি। আমাদের যেহেতু এলএনজি দরকার তাই স্পট থেকে কিনেছি। কিন্তু বিভিন্ন সোর্স থেকে আমাদের যে লং টাইম চুক্তি রয়েছে, সেগুলো অব্যাহত রেখে বাড়তি চাহিদা মেটাতে স্পট পারচেজ থেকে কেনার চেস্টা করছি। লং টার্মে একরকম দাম এবং স্পট থেকে কিনলে আরেক রকম প্রাইস। ’

তিনি বলেন, ‘এজন্য লং টার্মে যারা করে তাদের যে প্রাইস, সেটা সময় বিবেচনায় দাম নির্ধারণ করা হয়। এতে তাদের লাভও হতে পারে, আবার লোকসানও হতে পারে। স্পটে ডেইলি বেসিসে প্রাইস উঠা নামা করে। তাই আমরা ইমিডিয়েট প্রাইসে আমরা কিনছি। আমরা কেনার সময় বাজারে কেমন দাম আছে সেটা নির্ণয় করি।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২১
জিসিজি/এফএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।