ঢাকা: ক্যাশলেস সোসাইটি গড়তে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের প্রণোদনা দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি হোটেলে সোনালী ব্যাংক ও মোবাইলে আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান বিকাশের যৌথ সেবা কার্যক্রম উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিষয়টি বিবেচনার জন্য অনুষ্ঠানে উপস্থিত আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আসাদুল ইসলামেরও দৃষ্টি আকর্ষণ করেন প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, একেবারে ছোট ছোট ব্যবসা যারা করেন। মুদিখানা থেকে শুরু করে কাঁচাবাজার পর্যন্ত সবাই যেন ডিজিটাল লেনদেনে আসে। সেই জন্য আমি আমাদের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিবকে অনুরোধ করবো এক ধরনের প্রণোদনা দেওয়া যায় কি-না। আমরা চাই ক্যাশলেস সোসাইটি তৈরি করতে। তাহলে হবে লেনদেনের স্বচ্ছতা। কমবে দুর্নীতি।
তিনি বলেন, যদি আমরা লেনদেনটা পেপারলেস করি। প্রত্যেকটা লেনদেনে ডিজিটাল হিস্টোরির মধ্যে আনি। যদি ক্রেডিট রেটিং, ক্রেডিট প্রোফাইলিং করি। তাহলে আর্থিকখাতে কোনো অনিয়ম করার সুযোগ কেউ পাবে না। ঋণ জালিয়াতি করার সুযোগ পাবে না। মানি লন্ডারিংয়ের সুযোগ পাবে না। দেশের কোনো অর্থ অবৈধভাবে বিদেশে পাচার করার সুযোগ পাবে না। প্রত্যেকটি লেনদেনের ডিজটাল রেকর্ড আমরা রাখতে পারবো। ইন্টার অপারেবল ডিজিটাল ট্রানজেকশন প্লাটফর্ম সেই উদ্দেশ্যেই করা হচ্ছে।
পলক বলেন, ক্যাশ লেনদেন কমানোর জন্য যদি অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে একটা প্রণোদনা দেওয়া হয়। বিকাশ, সোনালী বাংক তারা ক্যাশ আউট না করে ডিজিটাল ওয়ালেট থেকে যত জায়গা খরচের প্রয়োজন হয়। কাঁচাবাজারে গিয়েও যদি ডিজিটাল লেনদেনটা করতে পারে। তখন কিন্তু আমরা প্রত্যেকটা আর্থিক লেনদেনের হিসাব পাবো এবং তাদের জবাবদিহিতার আওতায় আনতে পারবো। আর্থিক খাতে স্বচ্ছতা এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারবো।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আসাদুল ইসলাম, সোনালী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান জিয়াউল হাসান সিদ্দিকী, সোনালী ব্যাংকের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. আতাউর রহমান প্রধান এবং বিকাশের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার কামাল কাদীরসহ উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২১
এসই/আরআইএস