ঢাকা: বাংলাদেশে ৫০ লাখ মানুষের চাকরি সুরক্ষায় ২৫ কোটি ডলারের ঋণ অনুমোদন করেছে বিশ্বব্যাংক। বাংলাদেশি মুদ্রায় এই ঋণের পরিমাণ প্রায় ২ হাজার ১৫০ কোটি টাকা।
শনিবার (২৭ মার্চ) বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিস থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এই ঋণের অন্যতম উদ্দেশ্য উপার্জনক্ষম মানুষের চাকরি যেন সরকার সুরক্ষা দিতে পারে, কোভিড-১৯ সংকটেও সরকার যেন কর্মজীবী মানুষকে নিয়মিত বেতন দিতে পারে। ক্ষুদ্র উদ্যাক্তাদেরও এই ঋণ সহায়তা করবে। সব মিলিয়ে ৫০ লাখের বেশি মানুষের চাকরির সুরক্ষার জন্য ঋণটি সরকারকে সহায়তা করবে।
তৃতীয় প্রগ্রামেটিক জবস ডেভেলপমেন্ট পলিসি ক্রেডিট-এর আওতায় বাংলাদেশকে এ সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। বিশ্বব্যাংকের সহযোগী সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন (আইডিএ) বাংলাদেশকে ৩০ বছর মেয়াদী এ ঋণ দেবে। এর গ্রেস পিরিয়ড পাঁচ বছর। এর লক্ষ্য হলো—নারী, তরুণ, সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীসহ সাধারণ নাগরিকদের জন্য অধিকতর এবং অপেক্ষাকৃত ভালো কর্মসংস্থান সৃষ্টির বাধাগুলো দূর করতে শক্তিশালী নীতি ও প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো তৈরিতে বাংলাদেশকে সহায়তা।
বাংলাদেশ সরকারকে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ব্যবস্থাকে আধুনিকীকরণের জন্য একটি শক্তিশালী নীতি ও প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো গড়ে তোলার জন্য সহায়তা করছ সংস্থাটি। শ্রমিকদের জন্য সামাজিক সুরক্ষা উন্নত করা এবং যুবসমাজ, নারী ও দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মানসম্পন্ন চাকরিতে প্রবেশের জন্য এই ঋণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। কর্মজীবী মায়েদের জন্য শিশু পরিচর্যা কেন্দ্রের প্রাপ্যতা বাড়ানো এবং নারী ও যুব সম্প্রদায়কে প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থান সেবা দেওয়ার মাধ্যমে এই কর্মসূচি আরও অধিত সংখ্যক নারীকে শ্রমবাজারেও যুক্ত করবে।
বাংলাদেশ ও ভুটানে নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি টেম্বন বলেন, কর্মসংস্থান সৃষ্টিই বাংলাদেশের উন্নয়নের অন্যতম লক্ষ্য। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশ শক্তিশালীভাবে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করছে। তবে উৎপাদন খাতে কর্মসংস্থান সৃষ্টির গতি কমেছে। কোভিড-১৯ মহামারি কর্মসংস্থান হারানোর ঝুঁকি বাড়িয়েছে। দরিদ্র জনগোষ্ঠী ও নারীরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। এই অর্থায়ন বাংলাদেশকে আরও ভাল কর্মসংস্থান তৈরি করতে সহায়তা করবে। করোনা সংকটে পড়া ক্ষতিগ্রস্ত নারী ও দরিদ্র মানুষের কর্মসংস্থান ব্যবস্থা করবে বিশ্বব্যাংকের এই ঋণ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০১ ঘণ্টা, মার্চ ২৭, ২০২১
এমআইএস/এমজেএফ