ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

কমেছে মুরগি-ডিমের দাম

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৫৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ২, ২০২১
কমেছে মুরগি-ডিমের দাম

ঢাকা: সপ্তাহের ব্যবধানে দাম কমেছে মুরগি, ডিম ও সবজির। অপরদিকে অপরিবর্তিত রয়েছে ভোজ্যতেল, চালসহ অন্যান্য পণ্যের দাম।

শুক্রবার (২ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর মিরপুরের মুসলিম বাজার, ১১ নম্বর বাজার, মিরপুর কালশী বাজার ও পল্লবী এলাকা ঘুরে এসব চিত্র উঠে এসেছে।

এসব বাজারে সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতিকেজি গাজর ২০ থেকে ৩০ টাকা, শিম ৪০ থেকে ৫০ টাকা, বেগুন ৪০ থেকে ৫০ টাকা, করলা ৪০ থেকে ৬০ টাকা, মূলা ৩০ টাকা, ঢেঁড়স ৩০ থেকে ৪০ টাকা, টমেটো ২০ থেকে ৩০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি পিস লাউ আকারভেদে বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়, বাঁধাকপি ২০ থেকে ২৫ টাকা। প্রতিকেজি মিষ্টি কুমড়া ২০ থেকে ৩০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০ থেকে ৬০ টাকা, পটল ৪০ টাকা, লতি ৬০ টাকা, সজিনা ৬০ থেকে ৮০ টাকা, আলু ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এদিকে ছয় কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়। প্রতিকেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকায়।  

কাঁচা কলা প্রতি হালি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকায়। কাঁচা মরিচ প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকা। প্রতিকেজি পেঁপে ৩০ টাকা, ক্ষীরা ৪০ টাকা, শসা ৪০ থেকে ৫০ টাকা, মটরশুঁটি ৪০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতি হালি লেবু ৩০ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়াও প্রতিকেজি শুকনা মরিচ ২০০ টাকা, রসুন ৬০ থেকে ১২০ টাকা, আদা ৬০ টাকা ও হলুদ ১৬০ টাকা থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে প্রতিকেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়। প্রতিকেজি বিআর-২৮ চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৪৮ টাকা, মিনিকেট ৬৫ টাকা, নাজির ৬৫ থেকে ৭০ টাকা, স্বর্ণা চাল ৪৮ থেকে ৫০ টাকা ও পোলাওয়ের চাল ৯০ থেকে ১০০ টাকা। খোলা ভোজ্যতেল প্রতি লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ টাকা।

পাঁচ টাকা দাম কমে প্রতি ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকায় ও হাঁসের ডিম প্রতি ডজন ১৪০ টাকা। দেশী মুরগির ডিমের প্রতি ডজন বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা।

কেজিতে ৩০ টাকা দাম কমে প্রতিকেজি সোনালি (কক) মুরগি ২৯০ থেকে ৩০০ টাকা ও  ব্রয়লার মুরগি প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়। আর লেয়ার মুরগি প্রতিকেজি ১৯০ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।  

এসব বাজারে অপরিবর্তিত আছে গরু ও খাসির মাংস ও মসলাসহ অন্যান্য পণ্যের দাম। বাজারে প্রতিকেজি খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা, বকরির মাংস ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা, গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫৮০ টাকা।

এসব বাজারে প্রতিকেজি রুই মাছের দাম বেড়ে (আকারভেদে) ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা, মাগুর মাছ ৬০০ টাকা, প্রতিকেজি শিং মাছ (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকায়। আর প্রতি কেজি মৃগেল ১১০ থেকে ১৫০ টাকা, পাঙাস ১২০ থেকে ১৫০ টাকা। প্রতিকেজি ইলিশ (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ৮৫০ থেকে এক হাজার টাকা, চিংড়ি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা।  প্রতিকেজি বোয়াল মাছ ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, কাতল ১৭০ থেকে ২৮০ টাকা, ফলি মাছ ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা, পোয়া মাছ ২০০ থেকে ২৫০ টাকা, পাবদা মাছ ১৫০ থেকে ২৫০ টাকা, টেংরা মাছ ১৮০ থেকে ২০০ টাকা, টাটকিনি মাছ ১০০ টাকা, তেলাপিয়া ১৪০ টাকা, সিলভার কার্প ১০০ থেকে ১৪০ টাকা, দেশী কৈ মাছ ৭০০ টাকা, কাঁচকি ও মলা ২৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, আইড় মাছ ৫০০, রিডা মাছ ২২০ টাকা এবং কোরাল ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা, গুড়া বাইলা ১২০ টাকা, রূপ চাঁদা প্রতিকেজি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মিরপুর ১১ নম্বর বাজারের মুরগি বিক্রেতা আমিরুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, খুচরা বাজারে মুরগির দাম কমতে শুরু করেছে। পবিত্র শবে বরাতে বাজারে মুরগির চাহিদা ছিল। শবে বরাত শেষে বাজারে মুরগির দাম কমে এসেছে।

খামারগুলোতে এখন মুরগি রাখতে চাইছে না খামারিরা। এর অন্যতম কারণ হচ্ছে তাপমাত্রা। তাপমাত্রা বাড়ায় ফার্মের মালিকরা মুরগি বাজারে ছেড়ে দিচ্ছে। এ কারণেই মুরগির দাম কমতে শুরু করেছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১০৫৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ০২, ২০২১
এমএমআই/আরআইএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।