সিলেট: গেলো লকডাউনে ঘাটতি দিয়েছি। জমি বিক্রি করে ২০ লাখ টাকা ব্যাংক ঋণ শোধ করতে হয়েছে।
শনিবার (৩ এপ্রিল) জেলা ও মহানগর ব্যবসায়ী ঐক্য কল্যাণ পরিষদের এক সভায় ব্যবসায়ী নেতারা নিজেদের ক্ষোভের বহিপ্রকাশ ঘটান। সভায় মহানগরীর বিভিন্ন মার্কেটের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা অংশ নেন।
তারা দোকান খোলা রাখার বিষয়ে রোববার (০৪ এপ্রিল) দুপুরে সিলেট চেম্বার অব কমার্সের সঙ্গে বৈঠকের পর জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেবেন। যেন সরকার লকডাউনের বিষয়টি পূণর্বিবেচনা করে।
ব্যবসায়ী নেতারা বলেন,গত লকডাউনে প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাসে প্রণোদনা পাবো আশা করেছিলাম। কিন্তু একজন ব্যবসায়ীও প্রণোদনা পাননি। অথচ মার্কেট দোকান বন্ধ থাকলেও আমাদের ওপর ট্যাক্স, ভ্যাটের চাপ। দোকান ভাড়া, বিদ্যুৎ বিল, কর্মচারীর বেতন সব কিছু দিয়ে ব্যবসা টিকিয়ে রাখা দুস্কর হয়ে পড়েছে। সামনে রমজান মাস। ব্যবসার সময়। এসময় সরকারকে অন্তত ব্যবসায়ীদের দিকে সুনজর দেওয়ার অনুরোধ করছি। আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনেই ব্যবসা চালিয়ে যাবো।
এ বিষয়ে সিলেট চেম্বার অব কমার্সের ভাইস প্রেসিডিন্ট তাহমিন আহমদ বলেন, গত করোনার ঢেউয়ে লকডাউনে ব্যবসায়ীরা চরম ক্ষতির মুখে পড়েছেন। পর্যটন শিল্প কেন্দ্রীক ব্যবসা ধ্বংসের পথে। গত লকডাউন পরবর্তী সময়ে ব্যবসায়ীরা কিছুটা ঘুরে দাড়ানোর চেষ্টায় আবারো লকডাউন দিলে উপায় থাকবে না। এ ক্ষেত্রে সীমিত লোকবল দিয়ে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখার বিষয়টি সরকার বিবেচনায় নিতে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ০৭৩৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৪, ২০২১
এনইউ/এসআইএস