ঢাকা: দেশের অভ্যন্তরীণ অর্থনীতিকে আরও সমৃদ্ধ ও সস্প্রসারিত করাই এবারের (২০২১-২২) অর্থবছরের বাজেটের মূল লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
বৃহস্পতিবার (০৮ এপ্রিল) দুপুরে ভার্চ্যুয়ালি ১২টি ব্যবসায়ী সংগঠনের সঙ্গে প্রাক-বাজেট আলোচনা শেষে ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
অর্থমন্ত্রী বলেন, আজকে ব্যবসায়ীরা তাদের মতামত, সমস্যা ও প্রাপ্তিসহ সবকিছু আমাদের জানিয়েছেন। মূলত যে বিষয়গুলো উঠে এসেছে, তার মধ্যে বেশির ভাগই ট্যাক্স রিলেটেড। অর্থসচিবের নেতৃত্বে বাজেট নিয়ে আমাদের যে বাজেট টিম কাজ করে যাচ্ছে। আমাদের বাজেটের যে রূপরেখা আছে সেখানে তাদের পরামর্শ নিয়ে দেশের জন্য যেসব পরামর্শ উপযোগী ও কল্যাণকর সরকার সেগুলো বিবেচনায় নেবে। যে ধরনের দাবি এসেছে সেগুলো অযৌক্তিক বলব না, কারণ তাদের দাবির পরিমাণ এত বেশিই থাকে। আমরা কতটুকু দাবি নিতে পারবো সেটি বাজেট টিম, ব্যাংক, এনবিআরসহ যারা আছে তাদের সঙ্গে বসে সিদ্ধান্ত নেবো।
করোনা পরিস্থিতিতে কোন বিষয়গুলো প্রাধান্য হওয়া উচিত জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমাদের বাজেটের সবসময়ই একটা লক্ষ্য থাকে। এবারের যে লক্ষ্য আমাদের অভ্যন্তরীণ অর্থনীতিকে আরও সমৃদ্ধ করা, আরও সস্প্রসারিত করা। আমরা এই কাজগুলো করতে পারলে সবার হা-হুতাশ কমে যাবে, সবার কাছে টাকা পয়সা থাকবে।
তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে রেভিনিউ জেনারেট করা, রেভিনিউ জেনারেট করতে গিয়ে যেন অন্য কোনো বিষয় মুখোমুখি চলে না আসে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হচ্ছে। আমাদের ডোমেস্টিক ইন্ড্রাস্টিকে আরও সমৃদ্ধ করতে চাই, এটি বিকশিত হলে আমাদের রেভিনিউ জেনারেশন সহজলভ্য হবে। তাদের হাত ধরেই একদিকে রেভিনিউ কালেক্ট করবো অন্যদিকে কর্মসংস্থান নিশ্চিত হবে।
গত বাজেটে করোনা মোকাবিলার ভালো ধারণা ছিলো, এবারও কোন আশার বাণী আছে কিনা জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমাদের আমার বাণী হচ্ছে দেশের সব মানুষ মূল্যবান সম্পদ। প্রত্যেক মানুষের জীবন-জীবিকা যাতে ব্যাহত না হয় সেজন্য সবসময় আমরা প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে কাজ করছি। তিনি সবসময় এ বিষয়টিকে গুরুত্ব সহকারে দেখেন।
আলোচনায় দ্য ফেডারেশান অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) প্রেসিডেন্ট শেখ ফজলে ফাহিম, বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) প্রেসিডেন্ট ড. রুবানা হক, বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফেকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) প্রেসিডেন্ট এ কে এম সেলিম ওসমান ও প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ হাতেম, বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ আলী খোকন, বাংলাদেশ লেদার গুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার ম্যানুফাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট মো. সাইফুল ইসলাম, মেট্রোপলিটান চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি চেম্বার বিল্ডিংয়ের (এমসিসিআই) ব্যারিস্টার নিহাদ কবীর, ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) প্রেসিডেন্ট রিজওয়ান রহমান ও সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট এন কে এ মুবিন (এফসিএ), চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (সিসিসিআই) প্রেসিডেন্ট মাহবুবুল আলম ও সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ওমর হাজ্জাজ, বাংলাদেশ ওমেন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রেসিডেন্ট সেলিমা আহমেদ, ফরেন ইনভেস্টর্স চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফআইসিসিআই) প্রেসিডেন্ট রূপালী হক চৌধুরী, ওমেন এন্টারপ্রেনার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডব্লিউইএবি) প্রেসিডেন্ট শাহরুক রহমান ও প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট আসফা হোসাইন, ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) প্রেসিডেন্ট শমী কায়সার অংশ নেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩১ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৮, ২০২১
জিসিজি/এমজেএফ