ঢাকা, শনিবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

খুলনার ইফতার বাজারে নেই হাঁকডাক

মাহবুবুর রহমান মুন্না, ব্যুরো এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০১ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৪, ২০২১
খুলনার ইফতার বাজারে নেই হাঁকডাক

খুলনা: প্যান্ডেলে শামিয়ানা টানিয়ে এবার অস্থায়ী কোনো ইফতারের দোকান বসেনি খুলনায়। যে কারণে নেই ক্রেতা-বিক্রেতাদের হাঁকডাক।

শুধুমাত্র স্বল্প পরিসরে ইফতারসামগ্রী বিক্রি করছে মহানগরীর কিছু হোটেল ও রেস্টুরেন্ট।

রমজানের প্রথম দিন বুধবার (১৪ এপ্রিল) বিকেলে খুলনা মহানগরীর বেশ কয়েকটি এলাকা ঘুরে এ দৃশ্য দেখা গেছে। ফুটপাত কিংবা হোটেলের সামনে প্যান্ডেলে শামিয়ানা টানিয়ে পসরা সাজিয়ে ইফতারি বিক্রি করতে দেখা যায়নি কাউকে।

করোনা মহামারির কারণে গতবছরের ন্যায় এবারও ফুটপাতে বসেনি ইফতারের পসরা। শুধু মাত্র স্বল্প পরিসরে হোটেলে বিক্রি হচ্ছে ইফতার। ফুটপাতে কোনো ইফতারি বিক্রি হচ্ছে না। দোকানে ইফতার বিক্রি শুরু হলেও হাঁকডাক নেই, ক্রেতাও কম বলে জানিয়েছেন দোকানিরা।

গত বছরে মহানগরীর পাইওনিয়র মহিলা কলেজের সামনে, ডাকবাংলো মোড়, সোনালী ব্যাংক চত্বর, ফেরিঘাট মোড়, পিকচার প্যালেস মোড়, পাওয়ার হাউজ মোড়, ময়লাপোতা মোড়, শিববাড়ি মোড়, রয়্যাল মোড়, পশ্চিম রূপসা ঘাট, শামসুর রহমান রোড, বৈকালী মোড়, বয়রা মোড়, নিরালা, গল্লামারী মোড়সহ প্রতিটি ব্যস্ততম সড়কের দু’পাশেই ইফতার সামগ্রীর পসরা সাজিয়ে বসতেন বিক্রেতারা। এবার সেসব স্থানে সুনশান। কঠোর লকডাউনের কারণে মার্কেট, বিপণি বিতান, শপিংমল বন্ধ। যে কারণে এসব এলাকা অনেকটা জনশূন্য। হাতে গোনা দুই একটা রিকশা ছাড়া সব পরিবহন বন্ধ রয়েছে। খুলনার সর্বত্র সর্বাত্মক লকডাউন চলছে।  

মহানগরীর হোটেল ক্যাসল সালামের ম্যানেজার সাইদুর রহমান সোহেল বাংলানিউজকে বলেন, সরকারি নির্দেশনা মেনে হোটেল বাউন্ডারির মধ্যে ইফতার মেলার আয়োজন করা হয়েছে। ইফতার মেলার উল্লেখযোগ্য ইফতার আইটেমের মধ্যে রয়েছে- রাশিয়ান চিকেন রোল, দৈবড়া, হালিম, ফালুদা, টিকেন চরমা, বিফ চরমা, কাবাবসহ প্রায় ৫০ থেকে ৬০ ধরনের মুখরোচক সব খাবার।

মহানগরীর সাতরাস্তার মোড়ের শামীম হোটেলের মালিক মো. শামীম হোসেন বলেন, সরকার যে নির্দেশনা দিয়েছে, সে নির্দেশনা অনুযায়ী খাবারের দোকান খোলা হয়েছে। ফুটপাতে ইফতারি বিক্রি না করে দোকানের মধ্যে বিক্রি করা হচ্ছে। ছোলা, পিঁয়াজু, বেগুনি, জিলাপী, আলুর চপ, সবজির চপ, ডিমের চপ, চিংড়ির চপ, ভেজিটেবল রোল সাজিয়ে রাখা হয়েছে।

স্বাস্থ্যবিধি মেনে আগের মতো ক্রেতাদের সেবা দেওয়ার চেষ্টা করছি। যদিও এবার বিক্রি অনেক কম বলে জানান শামীম।  

শামীম হোটেলে ইফতার সামগ্রী কিনতে আসা আব্দুল কাইয়ুম নামে এক ক্রেতা বলেন, হোটেলে হলেও ইফতারির দাম স্বাভাবিক রয়েছে। গতবার লকডাউনের সময় মানুষের হাতে যত টাকা ছিল এবার তা নেই। যার কারণে ইফতারির দাম বাড়লে কষ্ট হয়ে যেতো।  

এদিকে নগরীর মোড় ও অলিগলিতেও ভাসমান ব্যবসায়ীরা ইফতার সামগ্রী নিয়ে বসতেন না পারায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকে।

৭০ থেকে ৮০ শতাংশ মানুষ ইফতারের জন্য ফুটপাতের দোকানগুলোর ওপর নির্ভরশীল ছিল। নিম্ন মধ্যবিত্ত থেকে শুরু করে একেবারে নিম্ন আয়ের ভাসমান মানুষ ফুটপাত থেকে ইফতার ক্রয় করতেন। দুই বছর করোনার কারণে মৌসুমী ইফতার সামগ্রী বিক্রেতারা যেমন ক্ষতিগ্রস্ত তেমনি সাধারণ ক্রেতারাও ফুটপাত থেকে ইফতার সামগ্রী ক্রয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭০০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৪, ২০২১
এমআরএম/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।