ঢাকা: করোনাকালে সরকার ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজগুলো নারীদের জন্য তেমন কার্যকর হয়নি। অর্থনৈতিক মন্দা ও ভবিষ্যতের অনিশ্চয়তার কারণে নারীরা এই ঋণের ব্যাপারে আগ্রহী ছিলেন না।
নগদ সহয়তা বেশি প্রয়োজন বলে মনে করেন অনেক নারী উদ্যোক্তা। করোনার ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে নারীবান্ধব নতুন প্রণোদনা প্যাকেজ এবং বর্তমান প্যাকেজগুলোতে নারীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রাখার সুপারিশ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি) আয়োজিত ‘সরকারের আর্থ-সামাজিক পুনরুদ্ধার ব্যবস্থা: নারীরা কতটা উপকৃত হয়েছে’ শীর্ষক ভার্চ্যুয়াল সংলাপে বক্তারা এ সুপারিশ করেন। সংলাপটি সিপিডির আয়োজনে ও ইউএন ইউমেন-এর সহযোগিতায় আয়োজিত হয়।
সংলাপে মূল প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন। তিনি বলেন, নারী উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণ দিতে হবে যেন তারা চতুর্থ শিল্পবিপ্লব থেকে উপকৃত হতে পারে। কোভিড-১৯ এর কারণে বাল্যবিবাহ এবং নারীর প্রতি সহিংসতা বেড়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
সংলাপে প্রধান অতিথি পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান প্রণোদনা প্যাকেজের প্রচার সম্পর্কে বলেন, সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এই তথ্যগুলো সঠিক মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে।
অতিমারিতে নারীদের বৈশ্বিক চিত্র তুলে ধরেন ইউএন উইমেনের বাংলাদেশ প্রতিনিধি শোকো ইশিকাওয়া। তিনি বলেন, এসব প্যাকেজ নারীদের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে ও স্বচ্ছভাবে বিতরণ নিশ্চিত করতে হবে।
সংলাপে সভাপতির বক্তব্যে সিপিডির সম্মানীয় ফেলো অধ্যাপক রওনক জাহান বলেন, এ ধরনের সংলাপ থেকে উঠে আসা সুপারিশগুলো কার্যকর করতে একটা টাস্ক-ফোর্স গঠন করা যেতে পারে, যারা এই কাজের অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করবে।
সংলাপে আরও বক্তব্য রাখেন মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক ড. লীলা রশিদ, পারসোনার ব্যবস্থাপনা পরিচালক কানিজ আলমাস, ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম আর এফ হোসেন, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সহ-সভাপতি ড. ফৌজিয়া মোসলেম এবং দেশ গ্রুপ অব কোম্পানিজের পরিচালক বিদ্যা অমৃত খান।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫১ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৫, ২০২১
এসএমএকে/এমজেএফ