ঢাকা: মানসম্মত কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও চাকরি হারানোর ঝুঁকি মোকাবিলায় আরও ২৫ কোটি ডলারের ঋণ দিয়েছে বিশ্বব্যাংক, বর্তমান বাজারদরে টাকার পরিমাণ ২ হাজার ১৫০ কোটি টাকা। এর আগেও একই উদ্দেশ্যে ২৫ কোটি ডলার ঋণ দিয়েছে সংস্থাটি।
বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) ‘সেকেন্ড প্রোগ্রামেটিক জবস ডেভেলপমেন্ট পলিসি ক্রেডিট’ কর্মসূচির আওতায় বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্বব্যাংকের মধ্যে এ ঋণচুক্তি সই হয়েছে।
বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন ও বিশ্বব্যাংকের পক্ষে সংস্থাটির আবাসিক প্রতিনিধি মার্সি টেম্বন চুক্তিতে সই করেন।
দেশের কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর জন্য পর্যাপ্ত ও মানসম্পন্ন কর্মসংস্থানের সুযোগ ও পরিবেশ তৈরি করাসহ সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সংস্কার এবং আধুনিকায়ন করা হবে। সরকারের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বিশ্বব্যাংক তিন কিস্তিতে ৭৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার দিতে সম্মত হয়েছে।
এই ঋণ অর্থনীতির পুনরুদ্ধার এবং স্থিতিশীলতা তৈরিতে সহায়তা করবে। শ্রমিকরা যাতে ভবিষ্যতে বিপর্যয়ের ঝুঁকিতে না পড়ে সেই বিষয়ে অবদান রাখবে।
পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বিশ্বব্যাংক তিন বছরে ৭৫ কোটি ডলার ঋণ দেবে। ২০১৯-২০ অর্থবছরে ২৫ কোটি ডলারের চুক্তিপত্র সই হয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় ২০২০-২১ অর্থবছরে ২৫ কোটি ডলার ঋণচুক্তি সই হয়েছে। ফলে দুই দফার ৫০ কোটি ডলার দিলো সংস্থাটি, বাকি ২৫ কোটি ডলার দ্রুতই দেবে বিশ্বব্যাংক।
এই ঋণ ৫ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ৩০ বছরে পরিশোধযোগ্য। এ ঋণের অপরিশোধিত অর্থের ওপর শূন্য দশমিক ৭৫ শতাংশ হারে সার্ভিস চার্জ এবং ১ দশমিক ২৫ শতাংশ হারে সুদ দিতে হবে। এছাড়া অনুত্তোলিত অর্থের ওপর বার্ষিক সর্বোচ্চ ০ দশমিক ৫০ শতাংশ হারে কমিটমেন্ট চার্জ পরিশোধ করতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২২, ২০২১
এমআইএস/এমজেএফ