ঢাকা: করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে দোকানপাট ও শপিংমল খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। রোববার থেকে শর্তসাপেক্ষে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকানপাট খোলা রাখা যাবে।
শনিবার (২৪ এপ্রিল) রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকা ঘুরে ব্যবসায়ীদের দোকানপাট খোলার প্রস্তুতি নিতে দেখা গেছে। দোকানপাট ও শপিংমল খোলার অনুমতি পেয়ে তাদের মুখে হাসি ফুটেছে।
চন্দ্রিমা সুপার মার্কেটের বেশকিছু দোকান খুলে কর্মচারী ও দোকান মালিকদের গোছগাছ করতে দেখা গেছে। আব্দুল হালিম নামে এক ব্যবসায়ী বলেন, লকডাউনের ফলে দীর্ঘদিন দোকান বন্ধ ছিল। এখন সরকার দোকান খোলার অনুমতি দেওয়ায় আমাদের একটু সুবিধা হলো। লকডাউনে ব্যবসা বন্ধ থাকলে আমাদের জীবিকাও বন্ধ হয়ে যায়।
দোকান খোলার প্রস্তুতি প্রসঙ্গে আব্দুল হালিম বলেন, দোকান খুলবো আগামীকাল থেকে। আজ দোকানের অবস্থা দেখতে এসেছি। নতুন মাল তোলার জন্য জায়গা ফাঁকা করতে হবে এবং পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন করার প্রস্তুতি নিতে হবে। কাল কী কী কাজ করতে হবে সেগুলোই নোট করতে আজ মার্কেটে এসেছি।
চন্দ্রিমা সুপার মার্কেটের একাধিক নিরাপত্তা প্রহরী জানান, রোববার মার্কেট খুলবে বিধায় আজ অনেক ব্যবসায়ী ও দোকান মালিক মার্কেটে আসছেন। দীর্ঘদিন দোকান বন্ধ থাকার পর এখন দোকানের কী অবস্থা, সেটা দেখছেন তারা। চেষ্টা করছেন একটু গুছিয়ে নেওয়ার।
নিউমার্কেট ঘুরে দেখা যায় প্রায় সবগুলো প্রবেশ ফটক বন্ধ। পুরো মার্কেট খাঁ খাঁ করছে। নিউমার্কেটের এক নম্বর গেটের পকেট গেটটি খোলা। সেখানে মার্কেটের নিজস্ব নিরাপত্তাকর্মীরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন। নানা জিজ্ঞাসাবাদের পরে নাম এন্ট্রি করিয়ে মার্কেটের ভেতরে প্রবেশের অনুমতি পাচ্ছেন দোকান মালিক ও মার্কেট সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
দায়িত্বরত নিরাপত্তা তত্ত্বাবধায়ক আব্দুল কাদের বলেন, রোববার থেকে মার্কেট খোলা হলেও শনিবার কোনো ধরনের তৎপরতা নেই। সাফ-সাফাই বা অন্যান্য প্রস্তুতিমূলক কাজগুলো আগামীকাল সকালেই করবেন দোকান মালিকরা। এখন শুধু মার্কেট সংশ্লিষ্টরাই ভেতরে যেতে পারবেন। অন্য কারো ভেতরে যাওয়ার অনুমতি নেই।
এদিকে অন্য সময়ের তুলনায় শনিবার দুপুর পর্যন্ত নিউমার্কেট এলাকার সড়কে যান চলাচল লকডাউন পরিস্থিতি অনুযায়ী ছিল স্বাভাবিক। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় জরুরি পরিবহন ছাড়া চোখে পড়েনি তেমন কিছুই। কিছু রিকশা চলেছে, তা ব্যবসায়ীদের মালামাল পরিবহনের জন্য।
ব্যবসায়ীদের দাবির মুখে লকডাউন শেষ হওয়ার দুই দিন আগেই খুলে দেওয়া হচ্ছে দেশের বিপণি বিতানগুলো। এমন অবস্থায় দোকান গোছানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। নিউমার্কেটের ভেতরে কোনো দোকান খোলা না থাকলেও বাইরের অংশে অল্পকিছু দোকান খুলে মালপত্র পরিষ্কার করতে দেখা গেছে দোকানিদের। সাফ-সাফাইয়ের ফাঁকে ফাঁকে দুই-একজন ক্রেতারও দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা ছিল তাদের। যদিও সাড়া ছিল না ক্রেতাদের। নিউমার্কেট এলাকার চাঁদনিচক, গাউসিয়াসহ অন্যান্য মার্কেটেরর চিত্রও ছিল একই রকম।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০২১
এইচএমএস/এমজেএফ