ঢাকা: বিভিন্ন ধরনের পুরাতন ৬ হাজার ৬৫৪টি সেচ অবকাঠামো সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। প্রকল্পের আওতায় এ কার্যক্রম সম্পন্ন হলে ৪০ হাজার ৭৪০ হেক্টর জমিতে সারা বছর সেচ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
এই সেচের ফলে পানির অপচয় রোধ এবং প্রকল্প এলাকায় জনগণের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন হবে বলে দাবি সংস্থাটির। ৩৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি চলতি সময় থেকে জুন ২০২৫ মেয়াদে বাস্তবায়ন করা হবে। ইতোমধ্যে প্রকল্পের প্রস্তাবনা পরিকল্পনা কমিশন পাঠানো হয়েছে।
পরিকল্পনা কমিশনের কৃষি, পানিসম্পদ প্রতিষ্ঠান বিভাগের প্রধান (অতিরিক্ত সচিব) মো. মতিউর রহমান বাংলানিউজকে প্রকল্পটির উদ্দেশ্য ও প্রেক্ষাপট তুলে ধরে বলেন, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগে বিএমডিএ’র নিয়ন্ত্রণাধীন ১৫ হাজার ৫১৭টি গাভীর নলকূপের মধ্যে প্রায় ৪৫-৫০ শতাংশ নলকূপের বয়স ইতোমধ্যে ২৫-৪০ বছর পার হয়েছে।
‘গভীর নলকূপগুলোর জীবনকাল অতিক্রান্ত হওয়ায় নলকূপের হাউজিং পাইপ, স্ট্রেইনার, রিডিউসার ইত্যাদি নষ্ট হয়ে পানির সঙ্গে বালি/পাথর নির্গত হচ্ছে। নলকূপের পাম্প হাউজগুলো দীর্ঘদিন মেরামত, সংস্কার না হওয়ায় ঘরের দেয়াল, ছাদ ও বিম ভেঙে যাচ্ছে। এছাড় পাম্প, মটর, ট্রান্সফরমার পুরনো হওয়ায় ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ’
বিএমডিএ সূত্র জানায়, কমান্ড এরিয়া থাকা সত্ত্বেও নলকূপের সমস্যার কারণে সেচ কার্যক্রম বিঘ্নিত হচ্ছে। এসব বিবেচনায় সেচ অবকাঠামো সংস্কারের জন্য প্রকল্পটি নেওয়া হচ্ছে।
প্রকল্পের আওতায় ১ হাজার ৩৫৮টি পুরাতন গভীর নলকূপ সংস্কার, ২ হাজার ৪০৯টি পুরাতন পাম্প হাউজ পুনঃনির্মাণ, ২ হাজার ৯৮৭টি পুরাতন পাম্প হাউজ মেরামত, ২০০টি অটোমেটিক গ্রাউন্ড ওয়াটার স্টেশন স্থাপন করা হবে। এছাড়া মেরামত করা হবে ৩০০টি বিদ্যুৎ লাইন।
বাংলাদেশ সময়: ০৮১০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৭, ২০২১
এমআইএস/এএ